বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্সে’র চূড়ান্ত সুপারিশলো প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আশিক চৌধুরী এ কথা বলেন।
এ সময় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গঠিত জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্সে সরকার, বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া ও এনআরবিরা উপস্থিত ছিলেন।
টাস্কফোর্সের প্রধান দায়িত্বগুলো ছিল বাংলাদেশের প্রয়োজন ও ঘাটতির মূল্যায়ন, সম্ভাব্য সুযোগ চিহ্নিত করা এবং নীতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদে সুপারিশ দেয়া।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বিভিন্ন ধাপে প্রতিযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের সক্ষমতা যাচাই করে চিপ ডিজাইনের পাশাপাশি টেস্টিং ও প্যাকেজিং খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশ করেছি।’
এগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৩টি সুপারিশ করা হয়েছে।
ক্যাটাগরিগুলো হলো
১. স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা দক্ষতা উন্নয়ন,
২. বিজনেস এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পলিসি সাপোর্ট বা ব্যবসায়িক পরিবেশ ও নীতিগত সহায়তা এবং
৩. গ্লোবাল পার্টনারশিপ বা বৈশ্বিক অংশীদারত্ব।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দফতর টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের নিয়ে পৃথক একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সাপ্লাই-চেইন বৈচিত্র্যময় করতে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশকে সেমিকন্ডাক্টর খাতে একটি বিনিয়োগবান্ধব, প্রতিশ্রুতিশীল ও উদীয়মান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। এ লক্ষ্যে আগামীর সরকারগুলোও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলেও নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেন আশিক চৌধুরী।’ ইউএনবি