বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, নাহিদ-আসিফরা জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল ৷ ডিজিএফআই, ডিবির পাশবিক অত্যাচার, কোনো কিছুই এদের টলাতে পারেনি।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম তার পোস্টে আরো লেখেন, মাহিন সরকার, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার পুরো রেজিমের ভয় এদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।
তিনি লেখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল, সেটা বুঝেছি। সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে, সেটা নিয়েও সমস্যা নেই। ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার অমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি। যখনই সঙ্কট এসেছে আমার এ সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে।
সারজিস লেখেন, কিন্তু অ্যাজেন্ট হিসেবে ভিতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয়, তবে সেটা কখনো সফল হবে না। এই বন্ধন এমনি এমনি তৈরি হয়নি। হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝড়িয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসাথে লড়াই করে এই বন্ধন তৈরি হয়েছে। সাবধান!
এর আগে, গত ১১ নভেম্বর পাঁচ দফা দাবিতে সচিবালয়ের গেটে অবস্থান নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলায়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় উপদেষ্টাকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর থেকে মূলত সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অনেকে জুলাই বিপ্লবে নাহিদ ইসলামের সাহসী ভূমিকা নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন।