এএফসির কোচিং লাইসেন্সের ‘সি’ ও ‘বি’ সম্পন্ন করে ‘এ’ কোর্সটাও করেছিলেন জাতীয় দল ও মোহামেডানের সাবেক মিডফিল্ডার নুরুল হক মানিক। শনিবার থেকে ‘এ’ লাইসেন্স কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়াদের সার্টিফিকেট প্রদান শুরু হয়েছে; কিন্তু সার্টিফিকেট আর নেয়া হলো না মানিকের। হবেও না কোনোদিন। গত ১৪ জুন করোনা কেড়ে নিয়েছে সাবেক এ ফুটবলার এবং বাফুফের কোচের প্রাণ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এএফসির ‘এ’ কোচিং কনভেনশনের আওতায় আসে গত বছর জুলাইয়ে। এরপর ২০১৯-২০ সালে বাফুফের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ কোর্স। বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, ভুটান, শ্রীলংকা ও মালয়েশিয়ার কোচরা অংশ নিয়েছিলেন এই কোর্সে। যাদের মধ্যে ‘এ’ ২৪ জন, ‘বি’ ২৩ জন এবং ‘সি’-তে ২৪জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। কোর্স পরিচালনা করেছিলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি।
‘এ’ লাইসেন্স উত্তীর্ণ হওয়া ২৪ জনের মধ্যে বাংলাদেশের ১৪ জন। নুরুল হক মানিক ছাড়া বাকি যে ১৩ জন বাংলাদেশের ‘এ’ লাইসেন্স কোর্সে উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা হলেন- এমাদুল হক খান, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু, আলী আজগর নাসির, শাহাদাত হোসেন, একেএম নুরুজ্জামান নয়ন, ছাইদ হাছান কানন, শহিদুল ইসলাম, জাভেদ হোসেন, দীপক চন্দ্র নাথ, মো. সেলিম মিয়া, কাজী আলতাফুল হক ও শাহিনুল হক।
করোনাভাইরাসের কারণে শনিবার সীমিত আকারে সনদ বিতরণ করেছে বাফুফে। ওইদিন কয়েকজনের হাতে কোর্সের সনদ তুলে দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। উত্তীর্ণ হওয়া বিদেশিদের সনদ পাঠিয়ে দেবে বাফুফে। আর বাংলাদেশের যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সনদ প্রদান করা হবে।
আরআই/আইএইচএস