দেশসেরা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি তার ৩৬ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় জনকল্যাণে নিয়োজিত অনেক মানবিক মানুষকে যেমন ইত্যাদিতে তুলে ধরেছে, তেমনি উপহার দিয়েছে অনেক শিল্পী। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তিনি গেয়েছেন তাহসানের সঙ্গে। ইত্যাদির ঈদের অনুষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্সে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এ দুই তারকা। ভাইরালের যুগে একটি ভালো গানও যে লক্ষ কোটি মানুষকে আলোড়িত করতে পারে তার প্রমাণ ইত্যাদির এ গান। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কথা, সুর ও শিল্পী সব মিলিয়ে গানটি যেমন হৃদয়ছোঁয়া তেমনি শিল্পীদের পরিবেশনাও ছিল অসাধারণ। বিষয়টি নিয়ে গানটির পরিকল্পক হানিফ সংকেতের সঙ্গে কথা বলেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

ইত্যাদির জৌলুস দিন দিন বাড়ছে, কেমন লাগছে?

যাদের জন্য ইত্যাদি নির্মাণ করি অর্থাৎ দর্শক, তাদের ভালো লেগেছে, সেজন্য আমারও ভালো লাগছে।

ঈদ ইত্যাদিতে প্রচারিত তাহসান-ফারিণের গানটি ইউটিউবে সেই শুরু থেকেই এক নম্বরে এবং দেশীয় গন্ডি পেরিয়ে গ্লোবাল ট্রেন্ডিংয়েও ভালো অবস্থানে আছে, গানটির গল্প শুনতে চাই?

গল্পটা তেমন কিছুই না। ইত্যাদিতে আমরা সবসময় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গানগুলো একটু ব্যতিক্রমী করতে চাই। তাই গানের কথা, সুর ও শিল্পী নির্বাচনের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এবারের ইত্যাদির প্রতিটি গানেই ভিন্নতা ছিল। আমি যখন তাহসানকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্বটি করলাম, তখনই বলে রেখেছিলাম ঈদে ইত্যাদির গান করতে হবে। যেহেতু আগেরবার তাহসান একা গেয়েছে, এবার চিন্তা করেছি তাহসানের সঙ্গে আর একজনকে নিতে হবে। কাকে নেওয়া যায়- তাসনিয়া ফারিণ একজন গুণী অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি সে গাইতে এবং নাচতেও পারে। যা অনেকেরই অজানা। তাই ওর সঙ্গে যোগাযোগ করা  হলো। বললাম গানের কথা ও রাজি হয়ে গেল। এরপর গানটির কথা হলো, সুর হলো, রেকর্ড হলো, তারপর প্রচার হলো-গানটিও চারদিকে রং ছড়িয়ে দিল। সেজন্য গানটির গীতিকার, সুরকার, শিল্পী, চিত্রগ্রাহকসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কলাকুশলীকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আজকাল অনেকেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে মিউজিক ভিডিও করেন। এ গানটির মিউজিক ভিডিও করলেন না কেন?

লাখ লাখ টাকা খরচ করে অনেক সময় নিয়ে যে মিউজিক ভিডিও বানানো হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাতে গান শব্দটির প্রতি অবিচার করা হয়। গান মানুষ শোনে আর মিউজিক ভিডিওতে মানুষ গান দেখে। ইত্যাদির মঞ্চে ৪ মিনিটের গান ৪ মিনিটেই ধারণ করা হয়েছে। আর মিউজিক ভিডিও করলে ওটা আর গান থাকত না, নাটকের গান হয়ে যেত। আজকাল কিছু কিছু নাটক দেখে মনে হয় সংগীতানুষ্ঠান দেখছি। কিছুক্ষণ পর পরই গান থাকে। অনেক নাটকও এখন মিউজিক ভিডিও হয়ে গেছে।

আপনি ভাইরাল ও ভিউ বাণিজ্যের বিপক্ষে কথা বলেন- এখন এই গানটিতেও সেই শব্দগুলো যুক্ত হয়েছে, এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

আমি এটাকে ভাইরাল বলব না, গানটি মানুষের পছন্দ হয়েছে। সব শ্রেণির সব বয়সী মানুষের কাছে ভালো লেগেছে তাই চারদিকে ছড়িয়েছে। শুনেছি আজকাল গান ভাইরাল হওয়ার জন্য নানান বাণিজ্যিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। আমরা তা করিনি। আর ভিউ হওয়া খারাপ নয়, তবে ভিউ বাণিজ্যের জন্য উদ্ভট নৃত্যগীতে অশালীনভাবে গান পরিবেশন করে ভিউ বাড়ানোর প্রচেষ্টা নিন্দনীয়, তাতে শিল্পমান থাকে না। আসলে তাহসান-ফারিণের গানটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। গানটি পরিবার-পরিজন নিয়ে উপভোগ করেছে, মনে রেখেছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews