হেডফোন বা ইয়ারফোন ছাড়া অনেকেই তাদের জীবন কল্পনা করতে পারেন না। অফিসে যাওয়া আসার সময়, কাজের ফাঁকে ,সারাদিনই যখন সুযোগ পান কানে হেডফোন তুলে নেন। আবার করোনাকালে বাড়ি থেকে ক্লাস, অফিসের কারণে বেড়েছে হেডফোনের ব্যবহার। কিন্তু অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারে শরীরে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী সমস্যা হতে পারে।

হেডফোনের কারণে যেসব সমস্যা হয়:

কানের যন্ত্রণা
আপনি যখন হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করছেন বা দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনছেন, কেবল তখনই আপনার কানের ভিতরে  অদ্ভুত শব্দটি অনুরণিত হয় এবং কানে ব্যথা  হয়। ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লাগলে এই সমস্যা হতে পারে।

মনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব

আপনি হয়ত জানেন না, হেডফোন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন করে। অতএব, আপনি যদি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করেন তবে এটি মস্তিষ্কে খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে।  এজন্য নির্দিষ্ট সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করুন।

শোনার অসুবিধা 
আপনার কি কাজ করার সময় বা কথা বলার সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করার অভ্যাস আছে? যদি তাই হয় তবে সাবধান। কয়েক ঘন্টা হেডফোন ব্যবহার করলে কানের সমস্যা হতে পারে।

শ্রবণ ক্ষতি

হেডফোন থেকে যে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় সেটি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই কারণে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সুস্থ থাকতে হেডফোন কেনার আগে সতর্ক হন।

কানের সংক্রমণ
অনেকেই তাদের হেডফোন একে অন্যের সাথে শেয়ার করে।এ পরিস্থিতিতে ব্যাকটিরিয়া এবং জীবাণু ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে ইয়ারফোন স্পঞ্জের মধ্য দিয়ে চলে যায়, যা কানে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাই চেষ্টা করুন নিজের হেডফোন নিজেই ব্যবহার করতে।

আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে, সংক্রমণ এড়াতে হেডফোনগুলো পরিষ্কার রাখবেন এবং হাই ভলিউমে শুনবেন না। ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লেগে হতে পারে কানের সমস্যা।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews