সুস্থ–স্বাভাবিক একজনের রক্তে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার গ্লুকোজ বা শর্করা থাকে। গাইডলাইন অনুযায়ী, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা একটা নির্দিষ্ট ধাপ অতিক্রম করলে তাকে বলে ডায়াবেটিস। এই দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থাকে বলা হয় প্রি–ডায়াবেটিস। তার মানে যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ের থেকে বেশি হয়, কিন্তু ডায়াবেটিসের নির্ধারিত মাত্রায় পৌঁছায় না, সে পর্যায়কে বলে প্রি–ডায়াবেটিস।
খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনধারা, বংশগত ত্রুটি, স্থূলতা—এসব কারণেই মূলত প্রি–ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব কারণে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়। ইনসুলিন আমাদের রক্তের গ্লুকোজকে স্বাভাবিক রাখে। এ ক্ষেত্রে ইনসুলিন থাকার পরও শরীরের অতিরিক্ত মেদ ইনসুলিনকে অকার্যকর করে রাখে।
আশার ব্যাপার হলো, প্রি–ডায়াবেটিস পর্যায়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে, যেমন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ব্যায়াম ও হাঁটাচলার অভ্যাস গড়ে তুললে এটি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।