যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটাল জিউইশ মিউজিয়ামের কাছে গুলিবর্ষণে ইসরাইলি দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাতের এ ঘটনাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষমূলক সহিংসতা’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইয়েখিয়েল লাইটার।
একই সঙ্গে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটনের এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড স্পষ্টভাবেই ইহুদিবিদ্বেষের ভিত্তিতে ঘটেছে। এসব ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হতে হবে!যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণা ও চরমপন্থার কোনো স্থান নেই’।
পাশাপাশি তিনি এ ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ঘটনাটিকে ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত লাইটার জানান, ‘নিহতরা ছিলেন এক তরুণ ইসরাইলি জুটি, যারা খুব শিগগিরই বাগদান করতে যাচ্ছিলেন। তরুণটি এ সপ্তাহেই আংটি কিনেছিলেন আগামী সপ্তাহে জেরুজালেমে তার প্রেমিকাকে প্রস্তাব দেওয়ার উদ্দেশ্যে’।
তিনি তাদেরকে ‘এক অপূর্ব জুটি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা ওয়াশিংটনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি দারুণ সন্ধ্যা উপভোগ করতে এসেছিলেন।
লাইটার জানান, ট্রাম্প তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানান, তার প্রশাসন ‘ইহুদিবিদ্বেষ রোধে যা কিছু সম্ভব, সবই করবে’।
ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আছি, কাউকে ভয় পাব না। আমরা একসঙ্গেই থাকব এবং এমন নৈতিক অবক্ষয়কে জয় করব। যারা মনে করে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করতে পারবে, তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করব’।
এদিকে জাতিসংঘে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি দানোন এক্সে (সাবেক টুইটার) জানান, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে জিউইশ মিউজিয়ামের বাইরে সংঘটিত এ গুলিবর্ষণ একটি নিকৃষ্ট প্রকারের ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদ’।
‘আমরা নিশ্চিত, মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ইসরাইল সারা বিশ্বে তার নাগরিক ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’, যোগ করেন তিনি। সূত্র: আনাদোলু