নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার জঙ্গি অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী, মানিক ও ইকবালের মরদেহ ময়ন্তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) আনা হয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়। তবে ‘লাশ সংরক্ষণ ফ্রিজ’ স্বল্পতার কারণে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহগুলো নামাতে আধা ঘণ্টা দেরি হয়েছে।
ফ্রিজ স্বল্পতার কারণে আগে থেকে সংরক্ষিত রাখা তিনটি মরদেহ সরিয়ে তামিম চৌধুরী, মানিক ও ইকবালের লাশ রাখা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তাদের ফ্রিজে ঢোকানো হয়।
আর ‘লাশ সংরক্ষণ ফ্রিজ’ থেকে বের করা ওই তিনটি মরদেহ ঢামেকের শীততপ নিয়ন্ত্রিত পোস্টমর্টেম কক্ষে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢামেকে দায়িত্বরত শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঢামেকের ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার কারণে মরদেহগুলো নামাতে দেরি হয়েছে। ঢামেকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে লাশগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে পুলিশি পাহারায় একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ ঢামেকে আনা হয়।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ সংরক্ষণ করতে হাসপাতালের ২০টি ফ্রিজ থাকলেও ৮টি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। বাকি ১২টির মধ্যে কল্যাণপুরে জঙ্গি অভিযানে নিহত নয়জনসহ অন্যদের লাশ রয়েছে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে নিহত তিনটি নতুন মরদেহ সংরক্ষণে হিমশিম খাচ্ছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জের শহরের পাইকপাড়ার নুরুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ নামে পরিচালিত ওই অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অভিযানে নিহত অপর দুজনের নাম মানিক ও ইকবাল বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের হাতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।