ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে জোট বেঁধেছে বিরোধী দলগুলো।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ডাকে ব্রিগেড গড়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বহুজন সমাজ পার্টিসহ (বিএসপি) ২৩টি দল।

মূল লক্ষ্য, ভোটের পাটিগণিত ঠিক রেখে বিজেপিকে পথে বসানো। মহাজোটে এত দলের ভিড়ে হেভিওয়েট প্রার্থীও কম নয়। মহাজোটে এখন তাই বড় জট প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে।

ব্রিগেড থেকে ফিরে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও দ্রাভিডা মুনেত্রা কাজাঘাম (ডিএমকে) পার্টির নেতারা বলছেন, তারা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। মমতার মধ্যে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা দেখছেন কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচ. ডি. কুমারস্বামী।

এসপি দলের নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, মমতা হোক আর মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশ থেকেই প্রধানমন্ত্রী চান তিনি। নানা মুনির নানা মতে মহাজোট ব্রিগেডে এখন চরম বিতর্ক।

মমতা ব্যানার্জির ডাকে ১৯ জানুয়ারি (শনিবার) মোদি হটানোর র‌্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন ২৩ দলের নেতা-নেত্রীরা।

মঞ্চ থেকে একযোগে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেটা ভোটের পরই ঠিক হবে। কিন্তু মঞ্চের প্রতিশ্রুতি মঞ্চেই ফেলে এসেছেন নেতারা। প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন তারা। অনেকে গোপনে, অনেকে আবার প্রকাশ্যে।

মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অখিলেশকে জিজ্ঞেস করা হয়, মমতা নাকি মায়াবতী, প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে বেশি পছন্দ তার।

সরাসরি উত্তর এড়িয়ে অখিলেশ বলেন, দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ থেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলে ভালই হবে।

কারণ, রাজনীতিতে প্রচলিত প্রবাদই আছে, যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে ভোটে দাঁড়ান।’

তার এমন উত্তরে এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেকেও যোগ্য মনে করছেন সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশ থেকে অন্য হেভিওয়েট প্রার্থী রাহুল ও মায়াবতী।

এ রাজ্যে ৩৮-৩৮ আসন ফর্মুলায় জোট বেঁধেছে এসপি-বিএসপি। ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশের বাকি দু'টি রায়ে বারেলি ও আমেথি আসন ইউপিএ জোটের চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধী ও রাহুলের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন অখিলেশ-মায়াবতী।

কংগ্রেস এখানে একাই লড়বে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আরজেডি দলের নেতা রাজস্বী যাদব ও তামিলণাড়ু নেতা এম কে স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করেছেন।

কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী সোমবার পিটিআইকে বলেন, ‘তিনি (মমতা) খুবই সাধারণ জীবনযাপন করেন এবং খুব দক্ষ প্রশাসক। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে মমতার। পশ্চিমবঙ্গকে এত বছর নেতৃত্ব দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি।’

সমাবেশে লোক হবে না ভয়ে সভা বাতিল মোদির: মহাজোটের সমাবেশের জবাবে ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মোদির সভা হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু রাজ্য বিজেপির ব্রিগেড ভরানোর ক্ষমতায় আস্থা রাখতে না পেরে সভা বাতিল করেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও সোমবার বলেন, ২৮ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে, ২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে ও ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে সভা হবে।

সভা বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ব্রিগেড-আসানসোল দূরের কথা, বাংলাতেই বিজেপির ঠাঁই নেই।’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আসলে মমতার নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশ দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে।’

কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘প্রমাণ হয়ে গেল, বিজেপির এখানে সংগঠন নেই, ভবিষ্যৎও নেই।’

মোদির আয়ু আর ১০০ দিন-রাহুল: কংগ্রেসে সভাপতি রাহুল বলেন, মোদি সরকারের আয়ু আছে আর মাত্র ১০০ দিন। আগামী তিন মাসের মধ্যে মোদির স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হবে দেশ।'

সোমবার টুইটারে তিনি বলেন, দেশের লাখ লাখ বেকার যুবক কাঁদছে। অসহায় কৃষক, দলিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং ছোট ব্যবসায়ীরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। এরা সবাই মোদির অত্যাচার এবং অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে চাইছে।'



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews