তবে কি আবার পেস নির্ভরতা কমিয়ে স্পিন কেন্দ্রিক বোলিংয়ে ফিরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

যদিও টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কিছুতেই তা মনে করেন না। তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা, পেসার বাড়ানো বা কমানো মানেই স্পিন নির্ভরতায় ফিরে যাওয়া নয়। মনে রাখতে হবে পেসাররা ভাল বল করছেন কি না? তাদের বোলিংয়ে কার্যকরিতা আছে কি না?

গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি বলেন, ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচ দু’জন পেসার নিয়ে খেলে আমরা হেরে যাই। খেলার চালচিত্রই বলে দিয়েছে একজন বাড়তি পেসার থাকলে ভাল হতো। আমরা পরের দুই ম্যাচে তিন পেসার নিয়ে খেলে সাফল্য পাই। সেটা কিন্তু শুধু সংখ্যায় বেশি ছিল বলে নয়। তিন পেসার ভাল বল করেছিল বলেই আমরা শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করতে পেরেছিলাম।’

এবার কি তাহলে পেসাররা সেই ভুমিকাটা রাখতে পারছেন না? মাশরাফি এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি কথাও বলেননি। হাবভাবে বোঝাই যাচ্ছে আফগানিস্তানের সাথে প্রথম দুই ম্যাচে পেসারদের কারো কারো পারফরমেন্সে তিনি সন্তুষ্ট নন। রুবেল হোসেনই যে সেই পেসার, তা বোধকরি আর ভেঙ্গে বলার দরকার নেই।

আগের দুই খেলায় ১২ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন রুবেল। কাজেই তাকে বাইরে ঠেলে দেয়া। এদিকে একজন পেসার কমিয়ে বাড়তি স্পিনার দলে নেয়া মানেই যে আফগানিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচে তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে নামা- তাও নয়।

খোদ টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বিষয়টাকে অমনভাবে দেখতে নারাজ। তার ব্যাখ্যা, ‘আসলে কয়জন পেসার কিংবা কয়জন স্পিনার খেলানো হবে- তা নির্ভর করবে উইকেটের ওপর। স্কোয়াডে একজন পেসার কমানো হয়েছে। তার বদলে একজন স্পিনারের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। তার মানেই যে বাড়তি স্পিনার খেলানো হবে এমন নয়।’

একই প্রশ্নের জবাবটা অন্যভাবে দিয়েছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। পেসার রুবেলের বদলে বাঁ-হাতি স্পিনার মোশাররফ রুবেলের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাখা, ‘আফগানরা বাঁহাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছে না। সাকিবের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে তাদের অনেক বেশি সমস্যা হয়েছে। তা ভেবেই একজন বাড়তি বাঁহাতি স্পিনার নেয়া। ’

বাড়তি স্পিনার কিংবা তিন পেসার খেলানো সম্পর্কে মাশরাফির ব্যাখ্যা, আসলে উইকেটের আচরনের ওপর নির্ভর করেই বোলিং কৌশল আঁটতে হবে। তিন পেসার থাকবে কি থাকবে না, তা নির্ভর করবে আবহাওয়া ও উইকেটের ওপর। পরিষ্কার মেঘমুক্ত রোদ আর ঝরঝরে আকাশ থাকলে উইকেট নিশ্চয়ই ফ্ল্যাট থাকবে। আর বৃষ্টি ভেজা ও বেশি সময় কভারে ঢাকা পিচ মানেই ময়েশ্চার জমে স্পিনারদের বাড়তি সহায়তা করা।’

অনেকের মনেই প্রশ্ন, তবে কি টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছেতেই ফ্ল্যাট উইকেটকে স্পিন সহায়ক উইকেটে রূপান্তর করা হয়েছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক মাশরাফি ও মিনহাজুল অবেদিন নান্নু দুজনই বলেছেন, ‘নাহ।’ তাদের দুজনারই ধারণা টানা বৃষ্টির কারণে একটা বড় সময় পিচ কভারে ঢাকা থাকছে। আর সে কারনেই ময়েশ্চয়ারের জন্ম হচ্ছে। তাই উইকেটে একটু-আধটু টার্ন হচ্ছে।

মাশরাফির কথা শুনলেই পরিষ্কার হবে, তিনি কোনো ভাবেই স্পিন উইকেট চান না। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে মাশরাফি পরিষ্কার জানিয়ে জানিয়েছেন, এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার, আমাদের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে ভাল খেলেন। কাজেই আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য ফ্ল্যাট পিচ হলে ভাল হয়।’

এটাই শেষ নয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন টাইগার অধিনায়ক। আফগান বোলিং শক্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘আফগান বোলিং এমনিতেই ভাল ছিল। স্পিন ডিপার্টমেন্টও আগে থেকেই ছিল শক্তিশালি। তার সাথে লেগস্পিনার রশিদ খান যোগ হবার কারণে স্পিন আক্রমনটা আরও ধারালো হয়েছে।’

ব্যক্তিগত আলাপে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই বলে আসছেন তিনি, রশিদকে খুব হাই রেট করি আমি। বেশ কোয়ালিট লেগ স্পিনার। আমার তো মনে হয় বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বেরও অন্যতম সেরা লেগি রশিদ।

এআরবি/আইএইচএস/বিএ



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews