১৯৯৪ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস। সে যেন ছিল মেলিন্ডার জন্য এক অদ্ভুত অনুভূতি। সিয়াটলে বিল গেটসের বাড়িতে প্রবেশ করে মেলিন্ডার মনে হয়েছিল, স্বামীকে নিয়ে যেন ঢুকলেন এক ভিডিও গেমের জগতে। চমৎকার বিলাসবহুল বাড়িটি যতটা ব্যাচেলর এক প্রযুক্তির জাদুকরের জন্য মানানসই ছিল, ঠিক ততটাই বেমানান ছিল নব দম্পতির জন্য। ছয় মাস পর পছন্দসই ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়ে বাড়িটি মনের মতো করে গড়ে নিয়েছিলেন মেলিন্ডা। ২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে এমনভাবে গৃহ প্রবেশের বর্ণনা দিয়েছিলেন মেলিন্ডা।
তবে গত সপ্তাহে দুজনের এক হওয়া সবকিছুই যেন আলাদা হয়ে গেছে বিচ্ছেদের ঘোষণায়। ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের বিবাহবিচ্ছেদের এ ঘোষণা শুনে বিশ্লেষকেরা লেগে পড়েছেন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এর প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ণয়ে। কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন তাঁদের জনহিতকর কার্যক্রম নিয়ে, কেউবা প্রযুক্তি খাত নিয়ে। ব্যাপক টিকা কর্মসূচিতে জড়িত ছিলেন এই দম্পতি। তার ভবিষ্যৎ কী, এ নিয়েও ভাবছেন স্বাস্থ্য খাতের বিশ্লেষকেরা। তবে অনেকে কেবল ভাবছেন সিয়াটলে অবস্থিত তাঁদের লেক ফ্রন্টের ওটি বাড়িটি কে পাবেন, তা নিয়ে। যার বর্তমান মূল্য ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা।