দলের যখন একটা দায়িত্বশীল ইনিংস প্রয়োজন, তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলাকেই পাখির চোখ করলেন মেহেদী মিরাজ। কে জানে, সেটা চাপ কমানোর কোনো ট্যাকটিক ছিল না কিনা। কিন্তু মিরাজ যে এই বুদ্ধিতে সফল হবেন না, তা অনুমিত-ই ছিল। কারণ লংকান বোলাররা যে ছেড়ে কথা বলার পাত্র নন।
দুনিথ ওয়েলালাগের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চাইলেন মিরাজ। লং অনে দারুণ এক ক্যাচ তালুবন্দি করে তাকে ২৮ রানে থামালেন ফিল্ডার জানিথ লিয়ানাগে। বাংলাদেশ অধিনায়কের ২৫ বলে ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং একটি ছক্কার মার। ১০৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তার জুটিতে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ, তখনই দায়সারা শটে বিদায় নিলেন মিরাজ। তাতে ৪৩ রানেই থামল এই দুই ব্যাটারের জুটি।
এর আগে তৃতীয় উইকেটে হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওপেনার পারভেজ ইমন। সে জুটিও ভেঙেছিলেন ওয়েলালাগে।
২৮৬ রান তাড়ায় শুরুর দিকে মাত্র ৬ বলের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার তানজিদ তামিম (১৭) এবং তিনে নামা নাজমুল শান্ত (০)। এর মধ্যে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তানজিদের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। এরপর দুশমন্ত চামিরার বলে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি শান্ত।
পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরি এবং চারিথ আসালাঙ্কার ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের একটি করে জিতেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আজকের ম্যাচটি তাই অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে।