মোট পণ্য রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। রপ্তানিতে নিট পোশাক ভালো করলেও ওভেনের দুর্দশা কাটছে না। ফলে সামগ্রিকভাবে পোশাক রপ্তানি কমে গেছে পৌনে ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের আট মাসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ১৩৪ কোটি ডলারের নিট ও ৯৬৯ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলেও তা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভালোই করছি। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যেতে থাকায় বিদেশি ক্রেতারা নড়াচড়া শুরু করেছে। তুলনামূলকভাবে কম হলেও ক্রয়াদেশ আসছে। অবস্থার আর অবনতি না হলে জুনের দিকে রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।’
মহামারিতে অন্য খাত যেখানে কমবেশি হাবুডুবু খাচ্ছিল, সেখানে পাট ও পাটজাত পণ্যের বেশ ভালো করেছে। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা পাটের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই রপ্তানি আয়ও বেড়েছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৮৬ কোটি ২৭ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে পাটের সুতা ও বস্তার রপ্তানি যথাক্রমে ৩৭ ও ২৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে কাঁচা পাটের রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।