বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শওকত আলম মীর স্বাক্ষরিত ‘আমন্ত্রণপত্র’ প্রচার হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ ও অন্য মাধ্যমে নিন্দা এবং সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সংশ্লিষ্টরা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন শিক্ষা কর্মকর্তার এমন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে নিয়মবহির্ভূত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড বলে অভিহিত করে এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল থেকে ক্লাস ও ইনকোর্স পরীক্ষা বর্জন করেন। তারা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। দুপুরে অধ্যক্ষ বলেন, ভুল ভুলই। এ ব্যাপারে শিক্ষক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। পরিষদের এক সদস্যসহ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি ছাত্রদল কলেজ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২ জুলাই বেলা ১১টার দিকে কলেজের মুক্তমঞ্চে এ কমিটির নেতাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রদল ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ১ জুলাই মঙ্গলবার কলেজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অধ্যক্ষ শওকত আলম মীর স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ প্রকাশিত হয়। ওই নোটিশে ছাত্রদলের পক্ষে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 

সংবর্ধনার খোদ আয়োজনকারী ছাত্রদলের আহ্বায়ক রজিবুল ইসলাম শাকিল, সদস্য সচিব রাফিউল আল আমিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম বিপ্লব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে দেওয়া নোটিশের ব্যাপারে ছাত্রদল অবগত নয় বা এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। ছাত্রদলকে ঘিরে এমন দায়িত্বহীন নোটিশ প্রকাশে আমরা হতাশ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কলেজ প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। কলেজ প্রশাসনের এমন ভুলবশত অনাকাঙ্ক্ষিত নোটিশ কখনোই আমাদের সংগঠনের নীতি আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরি আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন না।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী জামায়াত নেতা এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েল ফেসবুকে মন্তব্য করেন, তিনি দীর্ঘ সময় কলেজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এমন দলকানা অধ্যক্ষ ইতিপূর্বে কখনো দেখেননি। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি কারও বিশেষ দুর্বলতা থাকতে পারে। তাই বলে তিনি একটি দলের পক্ষ নিয়ে কলেজের প্যাড ব্যবহার করে যে নোটিশ দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানাই। 

অপর একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, কলেজ অধ্যক্ষের এ ঘটনা আমাদের সামনে একটি মৌলিক প্রশ্ন তোলে, একজন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের আসল পরিচয় কি একজন শিক্ষা প্রশাসক, না রাজনৈতিক কর্মী? 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews