শুক্রবার সাইবেরিয়ার শহর নারিস্কের কাছে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ট্যাংক ধসে পড়ার পর নদীতে তেল ছড়ানো শুরু হয়। 

দুইদিন যাওয়ার পর কর্মকর্তারা এ ঘটনাটি জানতে পারেন, এমনটি জেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ট্যাংক ধসে পড়েছে, সেটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিকেল ও পালাডিয়াম উৎপাদনকারী কোম্পানি নারিস্ক নিকেলের সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। 

বিবিসি জানায়, বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও কনফারেন্সে পুতিন তেল ছড়ানোর ঘটনায় যথাসময়ে প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় কোম্পানিটির প্রধানকে তিরস্কার করেন। 

“সরকারি সংস্থাগুলো কেন দুইদিন পর এ ঘটনা বিষয়ে জানতে পারলো? আমাদের কি এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে হবে?,” নারিস্ক নিকেলের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধান সের্গেই লিপিনকে জিজ্ঞেস করেন তিনি।

সাইবেরিয়ার ওই অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সান্দার উস এর আগে পুতিনকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘উদ্বেগজনক তথ্য পেয়ে’ রোববার তিনি নদীতে তেল ছিটকে পড়ার বিষয়টি অবগত হন।

পুতিন দুর্ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে নারিস্ক নিকেল জানিয়েছে, তারা জ্বালানি ট্যাংক ধসে পড়া ও নদীতে তেল ছিটকে পড়ার বিষয়টি ‘যথাসময়ে সঠিকভাবেই’ জানিয়েছিল।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ট্যাংক সংলগ্ন পিলারগুলো ডুবে যেতে শুরু করলে ভারসাম্য হারিয়ে ট্যাংকটি ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে নারিস্ক নিকেল।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এ এলাকাটি মূলত মেরু অঞ্চলের চিরহিমায়িত ভূখণ্ডের (পার্মাফ্রস্ট) উপর অবস্থিত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখানকার হিমায়িত মাটি গলতে শুরু করেছে বলে বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই সতর্ক করে আসছিলেন।

ছিটকে পড়া তেল দুর্ঘটনাস্থল থেকেও প্রায় ১২ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় আমবারনায়া নদীর বিশাল অংশ লালচে আভা ধারণ করেছে।

জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় এখন সাইবেরিয়ার ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে, যারা নদী থেকে তেল সরিয়ে নেয়ার অভিযানে সহায়তা করবে।

ছিটকে পড়া জ্বালানি তেল প্রায় সাড়ে ৩০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে দূষিত করেছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় এবং আমবারনায়া নদীর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ছিটকে পড়া তেল সরিয়ে নেয়া কঠিন হবে বলে ধারণা পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর।

নারিক্স নিকেলের কোনো স্থাপনা থেকে নদীতে তেল ছিটকে পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৬ সালেও কোম্পানিটির প্ল্যান্টে ঘটা এক দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া রাসায়নিকে কাছাকাছি এলাকার একটি নদী লাল রং ধারণ করেছিল।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews