সময়টা স্বপ্নের মতো কাটছে সাকিব আল হাসানের। ছয় ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি, তিন হাফসেঞ্চুরি এবং একটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান, সঙ্গে নামের পাশে ১০ উইকেট। বাংলাদেশের তিনটি জয়েই সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। একের পর এক রেকর্ড-কীর্তি গড়ে চলেছেন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দু’হাত ভরে দিচ্ছে তাকে।
সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার নৈপুণ্যে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তাকে নিয়ে তো কথা হচ্ছেই, ম্যাচ শেষে তাই হয়ত পার্শ্বনায়ক মুশফিকের দায়িত্বশীল ইনিংসের প্রশংসার দায়িত্ব কণ্ঠে তুলে নিলেন সাকিব। অবশ্য মুশফিককে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফীও।
সাউদাম্পটনে ৬২ রানে জয়ের ম্যাচে সাকিব ৫১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন। হয়েছেন ম্যাচসেরা। যেভাবে আলো ছড়াচ্ছেন, রহস্যটা কী? তাতে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করতে নিজেকে সেরা উপায়ে প্রস্তুত করেছেন বলে মনে করিয়ে দিলেন টাইগার অলরাউন্ডার।
‘বিশ্বকাপের আগে আমি অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি। ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলাম। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এটির প্রতিদানও পাচ্ছি।’
‘হ্যাঁ, এই বিশ্বকাপে দারুণ কিছু হচ্ছে। সৌভাগ্যবশত আমরা শুরুটা দারুণ করেছি। যে কারণে সমর্থকরা পাশে রয়েছে। ৫ উইকেট আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। তবে ফিফটির জন্য সত্যিই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’ ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে এভাবেই বলেছেন সাকিব।
তখনই মুশফিকের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ নক খেলেছে। তাকে ছাড়া আমরা এতো রান করতে পারতাম না। আমরা জানতাম তাদের (আফগান) তিন স্পিনারের কারণে ব্যাটিংটা কঠিন হবে। সুতরাং, দলীয় প্রচেষ্টার প্রয়োজন ছিল।’
সামনে আরও দুটি নকআউট ম্যাচ। সেমির স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে তাতে জয়ের বিকল্প নেই। সাকিব সেই বড় দুই ম্যাচেও সেরাটাই দিতে চান, ‘অবশ্যই (ভালো পারফরম্যান্সের ধারা) অব্যাহত রাখতে চাই। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের পরবর্তী দুটি ম্যাচ বিগ ম্যাচ।’