অহিদুল ইসলাম এক সপ্তাহের মধ্যে সব শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, সরকারি চাকরিতে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল ও সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাঁদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা ও দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন। রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের বংশধরদের সরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব ধরনের অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্ব-ঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনে হামলাসহ সব ধরনের অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ করা।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের উদ্দেশে একটি পদযাত্রা বের করেন আয়োজকেরা।