গত দুই সপ্তাহ ধরে ইউরোপ দৈনিক রেকর্ড সংক্রমণের কথা জানানোর পর শনিবার অঞ্চলটিতে মৃত্যুর সংখ্যা এই দুঃখজনক মাইলফলক পার হয় বলে জানাচ্ছে রয়টার্সের টালি।
বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইউরোপ ২ লাখ দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। গত সপ্তাহে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় অনেকগুলো দেশ একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল।
রয়টার্সের টালি অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ বিশ্বের মোট মৃত্যুর ১৯ শতাংশ এবং মোট সংক্রমণের ২২ শতাংশ ইউরোপে ঘটেছে।
এখন পর্যন্ত ইউরোপে প্রায় ৮০ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আড়াই লাখের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, রাশিয়া, বেলজিয়াম ও স্পেনের বাসিন্দা।
প্রায় ৪৫ হাজার মৃত্যু নিয়ে এ তালিকায় যুক্তরাজ্য ইউরোপের শীর্ষে আছে; এরপরই আছে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, মহামারীর গতি হ্রাস করতে যুক্তরাজ্য শুধু টিকার ওপর নির্ভর করবে না, অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।
শেষ সাত দিনের গড় মৃত্যুর হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ায় প্রতিদিন ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, দৈনিক মৃত্যুর হিসেবে এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ; এরপরে থাকা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স উভয় দেশে প্রতিদিন ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিশ্বের সপ্তম দেশ হিসেবে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যায় ১০ লাখের মাইলফলক পার করেছে ফ্রান্স। করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলোর একটি ফ্রান্সে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির অধিকাংশ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, টানা গত ১০ দিন ধরে ফ্রান্সে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর গড় সংখ্যা বেড়েছে।
কিছুদিন আগে বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ হিসেবে স্পেনেও সংক্রমণ ১০ লাখ পার হয়েছে। দেশটি সর্বশেষ সাত দিনের গড় হিসেবে প্রতিদিন ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
রয়টার্সের টালি অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন ৪ কোটি ২১ লাখ এবং মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে ১১ লাখ লোকের।
আরও পড়ুন:
করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই ৮৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত
করোনাভাইরাস: ফ্রান্সে শনাক্ত রোগী ছাড়াল ১০ লাখ