আয়ের উৎস পাখি পালন

লাভ বার্ড, ফিঞ্চ, বাজরিগার, ডাভ, ককাটেইলসহ বিভিন্ন রকম বিদেশী পাখি এখন বাংলাদেশে সহজলভ্য। এসব পাখি পালন অনেকেরই বাড়তি আয়ের উৎস। পড়াশোনার পাশাপশি বিদেশী পাখি পালন করে অনেক ছাত্রছাত্রী হাত খরচের টাকা যোগাড় করছেন। কিছুদিন আগে যা ভাবাও যেত না। এই সব বিদেশী পাখি বাংলাদেশে ডিম বাচ্চা করছে। নানা রকম মিউটেশন বের হচ্ছে। পড়াশোনর পাশাপশি ফিঞ্চ, লাভবার্ড, বাজরিগার পালন করতে পারে। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হয় না। বরং ছাত্রদের জন্য ভাল। পাখি পালন খারাপ কাজ থেকে বাঁচায়। আয়ের পথ প্রশস্ত করে।
লাভবার্ড: শরীল জুড়ে তার নানা রং। বাকানো ঠোট, স্বচ্ছ চোখ, মায়াবি চাওনি, এক অপরকে খাইয়ে দেয়া ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য লাভ বার্ডের। লাভ বার্ডের আদি নিবাস আফ্রিকা। লাভ বার্ড বিভিন্ন প্রজাতির। লুটিনো পিচ ফেস, পিচ ফেস রোজী, হোয়াইট ফেস ভায়োলেট, ইয়েলো ফিসার, লাইম ফিসার, অলিভ ফিসার ইত্যাদি প্রজাতির লাভ বার্ড বাংলাদেশে পাওয়া যায়। প্রজাতি ভেদে দাম বিভিন্ন রকম। ৩০০০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার লাভ বার্ড বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এক বছর লাভ বার্ডের ডিম পাড়ার উপযুক্ত সময়। ৪ থেকে ৬টিঁ ডিম পারে। সিড মিক্স লাভ বার্ড খেতে পছন্দ করে। চিনা, কাউন, ধান, সূর্যমুখীর বীজ, কুসুম ফুলের বীজ ইত্যাদি পরিমান মত মিশালে সিড মিক্স তৈরী হয়। পাখির দোকানে লাভ বার্ডের খাবার কিনতে পাওয়া যায়। শাক সবজি ফলমূল লাভ বার্ড খেয়ে থাকে। অর্থনীতিকভাবে লাভ বার্ড পালন লাভ জনক। লাভ পালনের জন্য বাংলাদেশ খুব ভালো জায়গা। লাভ বার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই পাখির অসুখ বিসুখ হয় না বললেই চলে। ছাত্রছাত্রীরা অনায়াসে দু’এক জোড়া লাভবার্ড পালন করতে পারে। হাতখরচের টাকা লাভবার্ড পালনের মাধ্যমে আসতে পারে।
বাজরিগার: বৈজ্ঞাানিক নাম মেলোপসিট্্রাকাস আনুডুলেটাস। আদি নিবাস অস্ট্্েরলিয়া। দেখতে অনেকটা টিয়া পাখির মত। তবে টিয়া পাখি না। বাজরিগার নানা প্রজাতির হয়। উল্লেখযোগ্য হল, ওয়াইল্ড গ্রিন, ইয়েলো ডাবল ফ্যাক্টর এসপাঙ্গল, গোল্ডেন ফেস ডাবল ফ্যাক্টর এসপাঙ্গল, রেইম বো বাজরিগার, ইংলিজ বাজরিগার, জাপানিজ বাজরিগার ইত্যাদি। দাম ১০০০ থেকে লক্ষাধিক টাকা। দৈর্ঘ্য ১৮, প্রস্থ ১৮, উচ্চতা ১৮ ইঞ্চি খাঁচায় এই পাখি পালন করা যায়। বাজরিগারের প্রজনন ক্ষমতা খুবই ভাল। ৬ মাস বয়সে ডিম পাড়ে। একবারে ৬ থেকে ৮টি ডিম দিতে পারে। ছেলে মেয়ে চেনা সহজ। বাজরিগারের ওজন ৩৫ থেকে ৪০ গ্্রাম হয়। লম্বা ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি। পছন্দনীয় খাবার সিড মিক্স। খুব কম খায়। বাংলাদেশে তরুণদের কাছে বাজরিগার পাখি খুব জনপ্রিয়। এই পাখি খুব সহজেই পোষ মানে। বাজরিগার বিভিন্ন বয়সের মানুষের আনন্দের মাধ্যম হতে পারে। তরুনরা এই পাখি পালন করে নিজেদের নেশামুক্ত রাখতে পারে।
ফিঞ্চ: পাখিজগতের মধ্যে সাইজে ছোট। অনেকটা চড়–ই পাখির মতো। তবে দেখতে সুন্দর। মনকাড়া, আকর্ষণীয় যে কটি পাখি আছে তার মধ্যে অন্যতম ফিঞ্চ। ফিঞ্চের আদি নিবাস অস্ট্্েরলিয়া। ফিঞ্চের ডিম বাচ্চা করানো সহজ। পোষ মানে, অর্থনীতিকভাবে লাভজনক। বাংলাদেশে অসংখ্য শিক্ষার্থী ফিঞ্চ পাখি পালন করছেন। ফিঞ্চ নানা প্রজাতির হয়। উল্লেখযোগ্য হল, ডায়মন্ড ফায়ার টেইল, লংটেল, জেব্্রা, গোল্ডিয়ান ইত্যাদি। ৬ থেকে ৯ মাসে ডিম পারার উপযুক্ত হয়। সাধারণত ৩ থেকে ১২টি ডিম দেয়। সিড মিক্স প্রিয় খাবার। পাশাপশি এগ ফুড, শাক সবজি খেয়ে থাকে।
ককাটিয়েল: মাথায় লম্বা ঝুটি। খুব সুরেলা কন্ঠে ডাকে। কন্ঠ এত মিষ্টি যে একে গায়ক পাখি বলা হয়। চুপচাপ স্বভাবের। মানুষের সাথে খুব সহজে মিশতে পারে। এতক্ষণ যে পাখিটির কথা বলছিলাম তার নাম ককাটিয়েল। আদি নিবাস অস্ট্্েরলিয়া। এই পাখির সবচেয়ে আকর্ষণীয় এদের মাথার ঝুটি। এরা মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে। বিভিন্ন প্রজাতির ককাটিয়েল আছে। যেমন গ্রে, লুটিনোম, পাল, পাইড, হোয়াইট ফেস। সিড মিক্স এদের প্রিয় খাবার। প্রজনন ক্ষমতা অনেক ভাল। ১০টির মত ডিম দেয়। বাচ্চা হবার হার ও অনান্য পাখির চেয়ে ভাল। সর্বনিন্ম ৩,৫০০ হাজার টাকায় এক জোড়া ককাটিয়েল কিনতে পারা যায়। দীর্ঘদিন যাবত ককাটিয়েল পালন করছেন নওসিন মুন। তার মতে যে কারো হাতে খানিকটা সময় থাকলে সেটা ককাটিয়েলের পিছনে লাগালে ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব।



The Post Viewed By: 8 People















The Post Viewed By: 8 People



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews