বান্ধবীকের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক রাব্বি হাসান সবুজের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাব্বিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাব্বি দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
হামলার শিকার রাব্বি অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তিনি তার বান্ধবী ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছিলেন। ওই সময় পাশে বসে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী, গোলাম মোর্শেদসহ কয়েকজন তাদের উদ্দেশে অশ্লীল গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ জানালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের সহযোগীদের ডেকে এনে রাব্বির ওপর হামলা চালায়। তারা কয়েকজন মিলে রাব্বিকে মাটিতে ফেলে দিয়ে বেধড়ক কিল-ঘুষি-লাথি দিতে থাকে।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মহিবুল রাব্বি ও তার বান্ধবীকে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাব্বিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সাংবাদিক রাব্বি ও তার বান্ধবী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি তার বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছেন বলে জানান।
তবে ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ফরিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই ঘটনার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও যাননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রয়োজনের সময় প্রক্টরকে ডেকেও পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ তাদের। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মহিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া এ ব্যাপারে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া ছাত্রলীগের কমিটিতে আর কেউ নেই। যে ঘটনা ঘটেছে এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনও সম্পর্ক নেই।