জ্যোতির্ময় বড়ুয়া: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলছে, ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ১৫ দিন বাড়াতে পারেন। সেটি সম্ভব না হলে আদালতের কাছে সময় চাইতে হবে। তিনটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একজনই। মার্চের ১১-১২ তারিখ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হলেও মে মাসে ৭৫ দিন শেষ হয়ে গেছে। আদালতের কাছে অনুমতি চাননি বলে তিনি এই মামলায় তদন্ত করতে পারেন না। পুলিশের এখতিয়ার নেই সময় বাড়ানোর। আদালত আইওকে উপস্থিত হতে বলেছিলেন মামলার তথ্য–প্রমাণাদিসহ। যে আইনে মামলার প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়, সেটি ব্রিটিশ আমলের। বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহের যে নিয়ম, তা এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ডিজিটাল ফরম্যাটে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেন, যা আপনার জন্য মানহানিকর, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি এমন কিছু করে থাকেন যা অন্তর্জালে সারা বিশ্ব দেখেছে। তাঁর ল্যাপটপ থেকে তথ্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর যদি অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রমাণ নেওয়ার প্রয়োজনও হয়, তাহলে এর একটি কপি তাঁকে দিতে হবে। আরেকটি তারা নিয়ে যাবে।