বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। সকালে জাতীয় ঈদগাহে প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এই জামাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
নামাজ শেষে দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।
এদিকে ঈদের নামাজ পড়তে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। এখানে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সকাল সাতটায় প্রথমটি এবং এর এক ঘণ্টা পর সকাল আটটায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটিতেই বিশাল এই মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিদের কেউ এসেছেন আশপাশের এলাকা থেকে, আবার অনেকে এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে এসেছেন রাব্বী হাসান জান্নাত। এত দূর থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এসে নামাজ পড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে অসংখ্য মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। তাই এখানে নামাজ পড়তে ভালো লাগে। তা ছাড়া ঢাকায় চাচার বাসা রয়েছে। নামাজ পড়ে সেখানে চলে যাব।’
ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। মসজিদে প্রবেশের সব গেটে তল্লাশি করে মুসল্লিদের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোনো বস্তু নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
দক্ষিণ গেটে দায়িত্বরত সবুজবাগ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, তল্লাশির সময় মুসল্লিরা বেশ ভালোভাবে পুলিশকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদের জ্যেষ্ঠ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের ইমামতিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ ঈদগাহে নামাজ পড়েন।