বছরের প্রথম দিনে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার ঘটনাটি নিশ্চয়ই উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু সেই উৎসাহে তখনই ভাটা পড়ে, যখন দেখা যায় বইগুলো মুদ্রণপ্রমাদে কণ্টকিত এবং ছাপার ও কাগজের মান খারাপ।

গত শনিবার প্রথম আলোর খবরে জানা যায়, এনসিটিবি ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই ছাপার উদ্যোগ নেয়। বিদেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে ঠেকাতে ৩২টি দেশীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান জোট বেঁধে অনেক কম দরে বই ছাপার দরপত্র জমা দেয় এবং কার্যাদেশও আদায় করে নেয়। এনসিটিবির বই দেশীয় প্রতিষ্ঠান ছাপবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে তারা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেবে তা মেনে নেওয়া যাবে না। গত বছরের বইয়ে এ বছরের স্টিকার লাগানো, এনসিটিবির অনুমোদন ছাড়া বিদ্যালয়ে বই পাঠানো কিংবা নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম বই পাঠানোর ঘটনা ঘটিয়েছে কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। এটি কেবল দুঃখজনক নয়, শর্তের লঙ্ঘন।

এখনো সময় আছে, ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই বই মুদ্রণ, বাঁধাইয়ে যেসব অনিয়ম ও ত্রুটি আছে, সেগুলো সংশোধন করে বই শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠাতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচ্ছদ ও ছাপার নিম্নমান এবং কারচুপির অভিযোগ এসেছে, এনসিটিবির উচিত হবে অবিলম্বে সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। এ ব্যাপারে এনসিটিবিও দায় এড়াতে পারে না। প্রতিবছর শেষ মুহূর্তে কার্যাদেশ দেয়। ফলে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা অজুহাত দাঁড় করায়।

অন্যদিকে গত বছর ‘হেফাজতীকরণ’ ও ভুলে ভরা বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, সে বিষয়েও প্রতিষ্ঠানটি নীরব।

মুদ্রণকারী সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে এখনই এনসিটিবিকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করি, এনসিটিবি আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের কাছে নির্ভুল বই পৌঁছাবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিংবা ছাপার ও মুদ্রণের মানের সঙ্গে কোনো আপস করবে না।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews