হতে পারত এটি বাংলাদেশের নারীর অর্জনের আরেকটি নতুন পথ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ঘটনাটির সূত্রপাত ২০১৪ সালে এবং সেটি হয়েছে বাংলাদেশের দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। ফুলবাড়ী পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনজন নারীর নাম প্রস্তাব করে উপদেষ্টা কমিটি এবং সেখানে প্যানেলের এক নম্বরে ছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা। সেই কমিটির প্রতি বিশেষ সম্মান জানাচ্ছি এই কারণে যে তারা অন্তত প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বৈষম্য করেনি। সেখানে তিন সদস্যের ওই প্যানেল চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
প্রথম বাদ সাধে আইন মন্ত্রণালয়। সেই বছরেই ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়’— এই কারণ দেখিয়ে আইন মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবিত প্যানেল বাতিল করে। কিন্তু যিনি একটি নির্দিষ্ট পেশায় সামাজিকভাবে পুরুষ প্রাধান্যকে প্রশ্ন করেছিলেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে এবং কমিটমেন্টের মাধ্যমে। ফুলবাড়ীর আয়েশার উদ্যোগ, আগ্রহ এবং যোগ্যতা একভাবে কড়া নেড়েছিল নারীর জন্য সামাজিকভাবে বন্ধ থাকা একটি পেশায়। তবে আয়েশার এত কিছুকে অগ্রাহ্য করে যখন আইন মন্ত্রণালয় ওই সিদ্ধান্ত দেয়, তখন সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সেই আয়েশা।