দেশের শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ বড় অংশজুড়ে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে । বিশেষ করে , শহরের নির্মাণাধীন ভবনগুলো এবং পানি জমে থাকে এমন স্থানগুলোতে এই সমস্যা তীব্র হয়ে উঠছে । সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ভবনের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে এবং সেসব স্থানে এডিস মশার জন্ম হয়। অথচ, ভবন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি সেদিকে নেই বললেই চলে। আবার অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনের অভিযান অব্যাহত থাকলেও ব্যক্তি সচেতনতা না থাকায় ডেঙ্গু আতঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে । করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা এখনো সফল হতে পারিনি, এর মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক নতুন করে দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে, নিজেকে ভালো রাখতে আমাদের ব্যক্তি পর্যায়ে স্বেচ্ছায় কিছু কাজ করতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনাসহ আবদ্ধ স্থানে পানি জমলে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও ফুলের টব কিংবা গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে তা পরিষ্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। আর সেজন্য প্রয়োজনে টিভি, রেডিও এবং পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। পাশাপাশি ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ডেঙ্গু রোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে কাজে লাগাতে হবে। আসুন, ডেঙ্গু এবং এডিস মশা সম্পর্কে নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করি ।
মো. খশরু
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা ।