সব ঠিক থাকলে এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলা হয়ে যাচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজের। তরুণ অফস্পিনার এখনই তার চ্যালেঞ্জটা ধরতে পারছেন। কারণ ইংল্যান্ডের রান বন্যার উইকেটে স্পিনারদের জন্য বোলিং করা কঠিন চ্যালেঞ্জের। মিরাজের মতো প্রথাগত অফ স্পিনারদের অসহায় লাগাই স্বাভাবিক। ইংল্যান্ডে এখন যে ধরনের ব্যাটিং স্বর্গে ওয়ানডে ম্যাচ হয়, স্পিনারদের বোলিংয়ে বাড়তি কিছু বৈচিত্র না থাকলে টিকে থাকাই কঠিন। তবে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন এই স্পিনিং অল-রাউন্ডার।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'চ্যালেঞ্জ সবসময় থাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমার নিজেরও চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে। এই কন্ডিশনে কতটা ভালো করতে পারি, নিজের কাছেও এটা আমার চ্যালেঞ্জ। দলও আমার ওপর ভরসা রাখছে। দল যেটা চায়, আমি দেওয়ার চেষ্টা করব। স্পিনে আমাদের যে ঘাটতি আছে, সেটি পূরণ করার চেষ্টা করব।'
বাংলাদেশের নেই তেমন কোনো বৈচিত্রময় স্পিনার, নেই কোনো রিস্ট স্পিনার। ভরসা রাখতে হচ্ছে সাকিব-মিরাজদের অফ স্পিনে। সমস্যা হলো, ইংল্যান্ডের বেশিরভাগ মাঠই আকারে ছোট। অনেক সময় টাইমিং না হলেও বাউন্ডারি হয়ে যায়। অনেকদিন ধরেই নিজের প্রথাগত অফ স্পিন দিয়েই গত এক বছরে ওয়ানডেতে কার্যকর বোলিং করে আসছেন মিরাজ। বিশ্বকাপেও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চান এই তরুণ।
মিরাজ আরও বলেন, 'আমি সবসময় বলে আসছি, এখানে স্পিনারদের মূল কাজ হবে, উইকেট নেওয়ার চেয়ে রান কম দেওয়া আর আমাদের বোলাদের সাপোর্ট করা। পেসারদের সাপোর্ট করতে হবে। আমি রান আটকাতে পারলে বা এক প্রান্ত থেকে চাপে রাখতে পারলে অন্য প্রান্তে উইকেট বের করা যাবে। প্রথম থেকেই রান বাঁচানোর লক্ষ্য স্থির করেছি। নিজের ১০ ওভারে যত কম রান দিতে পারি, ততই ভালো।'