তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে যে তারল্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে আসছে, সে বিষয়টি তদারকিতে আছে।
বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ কয়েকটিতে ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘‘ঋণ তদারকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি নিয়মিত কাজ। কয়েকটি ব্যাংকের বিষয়ে গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন কার্যক্রম চালাচেছ। তা শেষ হলে আমরা এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানাতে পারব।’’
এসময় তিনি আমানতকারীদের ‘আতঙ্কিত’ না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ব্যক্তি ঋণে ব্যাংকের সুদের হার ৯ শতাংশের উপরে নেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।
এ নিয়ে ব্যাংকার্স সভায় আলোচনার বিষয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, গৃহঋণ ছাড়া সব ধরনের ব্যক্তি ঋণের সুদহার ৯ থেকে উঠিয়ে ১২ শতাংশ নিতে পারবে ব্যাংক বলে তাদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদের সীমা বেঁধে দিয়ে ২০২০ সালের এপ্রিলে সার্কুলার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা এখনও বহাল রয়েছে।