‘ডাকাতিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ’ শিরোনামে গত ৪ মে সংবাদ প্রকাশ করে পাঠকনন্দিত দৈনিক পত্রিকা যুগান্তর। এরপরেই বাঁধ নিয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে ডাকাতিয়া নদীর চারটি বাঁধ অপসারণ করল উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর রায়পুরের ধানহাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাঁধ অপসারণ করা হয়। এতে বর্ষায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছেন নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রভাবশালীরা ডাকাতিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। এতে মহিলা কলেজ, চালতাতলী, খাদ্য গুদাম ও পোস্ট অফিসসহ কয়েকটি এলাকায় স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও বন্যা রোধে অভিযান চালিয়ে রায়পুর পৌরসভা অংশের বিভিন্ন এলাকায় নদীতে আড়াআড়িভাবে দেওয়া বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরণের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধানও রয়েছে।

২০২৪ সালের ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে নদীসহ তার সংযোগ খালের কয়েকটি অংশে বড় কয়েকটি বাঁধ অপসারণ করেছিল প্রশাসন। তবে মাস না যেতেই সেখানে আবারও বাঁধ দেয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

রায়পুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা বলেন, ‘সরকারি খাল ও নদী দখল করে মাছ চাষ বা অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। যদি কেউ করেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকে ডাকাতিয়া নদীর বাঁধ কেটে দেওয়া হলো। নির্দেশনা ছাড়া কোনো ব্যক্তি নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতে পারবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews