রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযানের কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরোপিত অস্ত্র অবরোধ আরও একবছরের জন্য বাড়তে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
পাশাপাশি এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন জেনারেলও।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ইউরোপীয় দেশগুলোর জোটের ইইউ-এর কূটনীতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট তল্লাশি চৌকিতে হামলার অভিযোগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় মগরাও।
নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নাফ নদী পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন; যারা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এ ঘটনায় মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চলতি মাসে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এর মাঝেই আবারও নতুন করে একবছরের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হবে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর গত অক্টোবরে জেনারেলদের ওপর অবরোধ আরোপ করে ইইউ।
অবরোধের অংশ হিসেবে মিয়ানমার জেনারেলদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও তাদের সম্পদ জব্দের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই তালিকায় মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়ে’র নাম রয়েছে বলে খবরে জানা গেছে।
জাতিসংঘ বলছে, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত নির্মূল অভিযান চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। যদিও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। শান্তিকামী নেত্রী অং সান সূচিও প্রথমে এ বিষয়ে মুখ খুলেননি।
পরবর্তী এ রোহিঙ্গাদের ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হতে হয়েছে শান্তিতে নোবেল জয়ী এ নেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এমএ/