নিয়ম মেনে দিনে দুইবার ব্রাশ করছেন, কিন্তু তারপরেও মুখে বিব্রতকর গন্ধ হচ্ছে? মুখে থাকা জীবাণু এই সমস্যার অন্যতম কারণ। দাঁতের রোগ, অপরিষ্কার দাঁত, ধূমপান, দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া, শুষ্ক মুখ, নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়াসহ বিভিন্ন কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। প্রতিদিন দুইবার ব্রাশ করার পরও মুখের দুর্গন্ধ না গেলে ঘরোয়া কিছু উপায়ে চেষ্টা করতে পারেন। তবে তাও যদি থেকে যায় দুর্গন্ধ, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই। কারণ ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা বা এই রকম একাধিক কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
- মুখে গন্ধ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে ডিহাইড্রেশন। তাই পর্যাপ্ত পানি খান। তাজা ফলের রস খেতে পারেন নিয়মিত।
- লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন। লবঙ্গতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা মুখের ভেতরের জীবাণু ধ্বংস করে ও নিঃশ্বাসে নিয়ে আসে সজীবতা। চাইলে গ্রিন টি এর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন লবঙ্গ।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করবেন। এছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাবার বা চকলেট খাওয়ার পর পর দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। এতে জীবাণুর আনাগোনা কমবে মুখে।
- পুদিনা চমৎকার মাউথওয়াশ হিসেবে কাজ করে। মিন্ট ফ্লেভারের চুইংগাম রাখতে পারেন সঙ্গে। অথবা সরাসরি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলেও দূর হবে মুখের দুর্গন্ধ।
- মৌরি বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাচনে সহায়তা করে। পাশাপাশি এতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড নামের একটি উপাদান, যা লালাগ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে। পর্যাপ্ত লালা তৈরি হলে মুখ শুকিয়ে যায় না। এতে কমে দুর্গন্ধের আশঙ্কা।
- কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করুন। দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি দাঁত ব্যথাতেও আরাম মিলবে।
- মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে বেকিং সোডা। গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। কাঁচা পেঁয়াজ বা মুখে দুর্গন্ধ হয় এমন কোনও খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই এই মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করবেন।
- লেবু প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ হিসেবে কাজ করে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে দুইবার লেবু-পানি দিয়ে কুলি করুন। লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান মুখের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করবে।