আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকায় আজ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তবে তাপমাত্রার চেয়েও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। কারণ বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। এ অবস্থা কাটতে লাগবে দু-একদিন। বৃষ্টি নেই। প্রচণ্ড রোদ। তীব্র গরম। ঘরে বৈদ্যুতিক পাখায়ও কমছে না। যেন নাভিশ্বাস উঠছে রাজধানীবাসীর। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি বেড়ে বছরের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। আর হঠাৎ প্রচন্ড গরমের দাবদাহে পুড়ছে জনজীবন।
এই দাবদাহের বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ রয়েছে। লঘুচাপ হওয়ার কারণে সব মেঘ বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে, আমাদের এখনকার (ঢাকার) মেঘের ফোকাসটা ওই জায়গায়। সেজন্য এখানে বৃষ্টিটা কম। লঘুচাপ পশ্চিমবঙ্গের দিকে উঠে যাবে দু-তিনদিন পরই।’
তিনি আরও বলেন, ‘লঘুচাপ উঠে গেলে আগামী দুদিন পর বৃষ্টি আবার শুরু হতে পারে। এখন এপ্রিল, মে মাস নয়, তারপরও গরম লাগছে, কারণ বর্ষাকাল। এ সময় বাতাসে জলীয়বাস্প থাকে। বৃষ্টি না হয়ে যদি রোদ থাকে, তবে গরমের অনুভূতিটা বেশি হয়।’
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী শনিবার থেকে আবার বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা পাঁচ দশকের সর্বোচ্চ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়; ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে