তবে এখানেই শেষ নয়। শুটিং শেষে দত্তদা এসে আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘অ্যাই, খুব লেগেছে?’ সেই কণ্ঠে যেন স্নেহ ছিল, ছিল অপরাধবোধও। কবরীর অভিমানী চোখ ছলছল করে উঠেছিল। মাথা নেড়ে তিনি বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, খুব লেগেছে।’ জবাবে সুভাষ দত্ত বলেছিলেন, ‘ধুর পাগলি! কাঁদতে হয় নাকি! কত ব্যথাই তো আমরা পাই, একটুও কাঁদি না। সিনেমায় অভিনয় করতে এসেছ, অনেক কষ্ট করতে হবে। তা না হলে নাম হবে কেমন করে?’
এই এক চড়ই যেন কবরীকে শিখিয়েছিল অভিনয়ের কঠিন পাঠ। সিনেমা যে শুধু গ্ল্যামার নয়, সেটি রক্ত, ঘাম, কষ্ট আর ত্যাগের মিলিত ফল—তা প্রথম দিনেই বুঝেছিলেন তিনি।