বাংলাদেশে যখনই ইসলামী ছাত্রশিবির কিংবা তার মূল সংগঠন জামায়াতে ইসলামী নিয়ে আলাপ হয়, তখনই অনিবার্যভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের পূর্বসূরি ইসলামী ছাত্রসংঘের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হয়।
ডাকসু নির্বাচনে এই আলাপ এসেছে এবং তার প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই বলছেন, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বাংলাদেশে এত বেশি রাজনীতি হয়েছে যে এটা ‘বস্তাপচা’ (এই শব্দ ধার করেছি জনৈক জামায়াত নেতার বক্তব্য থেকে) বিষয়; তাই এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতির ইস্যু করার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা এমন একটা আলোচনা করতে পারেন, সেটা বোধগম্য। কিন্তু কিছুদিন আগে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলাম কাছাকাছি আলাপ তুলেছিলেন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর নতুন একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটি নতুন প্রজন্ম আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমরা একাত্তরকে অতিক্রম করেছি এবং চব্বিশে পৌঁছেছি। একাত্তরের পক্ষে না বিপক্ষে—এই বাইনারির (দুই ধারার) ওপর ভিত্তি করে তৈরি রাজনীতিকে গ্রহণ করতে কেউ আগ্রহী নয়। যারা এখনো এই পুরোনো রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা দেশকে একটি অচল রাজনৈতিক কাঠামোতে ফিরিয়ে নিতে চায়।’