মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল গত রোববার অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করবে, তা–ও আবার ভূমিধস জয়—সেটা খুব কম মানুষই প্রত্যাশা করেছিলেন। এমনটা মনে করার কারণ হলো, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, গত বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর বিজয় ছিল একটি ফ্লুক (আকস্মিকভাবে পাওয়া)।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট মালদ্বীপের একসময়ের প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা আবদুল্লা ইয়ামিনকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রেখেছিলেন। তখন একজন প্রক্সি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রাজধানী মালের তৎকালীন মেয়র ৪৫ বছর বয়সী মুইজ্জু শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শামিল হয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার ও পোস্টারে ইয়ামিনের মুখচ্ছবি বিশেষভাবে শোভা পেত এবং কারাবন্দী নেতার জন্য প্রচার সমাবেশগুলোর সামনে এবং মাঝখানে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হতো।
ভারত মহাসাগরের মাঝে পাঁচ লাখ মানুষের দেশ মালদ্বীপ। ইয়ামিনকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই দ্বীপপুঞ্জের ভোটারদের আকৃষ্ট করেছিলেন মুইজ্জু। তিনি শেষ পর্যন্ত ইয়ামিনের ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা চালিয়ে গেছেন, যেটাকে তাঁরা মালদ্বীপে নয়াদিল্লির বহিরাগত প্রভাব বলে অভিহিত করেন। এই প্রচারণার মধ্যে ছিল দেশটিতে থাকা ভারতীয় সামরিক কর্মীদের বহিষ্কারের বিষয়টিও।