নিউজ আপলোড : ঢাকা , শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

প্রতিবছর ৮ হাজার হেক্টর কৃষি জমি হারাচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু নৌ-পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবীবুন্নাহার। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু নৌ-পরিষদের আহ্বায়ক আশরাফ ইবনে নূর।=

এ সময় মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ২ ডিগ্রি বেড়ে গেলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে ১৬ থেকে ২০ ফুট। ফলে বাংলাদেশের অনেক উপকূল অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। যেটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের বৃদ্ধি এবং কৃষি এলাকায় মানুষের আবাস্থল দ্রুত বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যার কারণে দ্রুত ভূমি হ্রাস পাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিবছর ৮ হাজার হেক্টর কৃষি জমি হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে খুব কম পরিমাণ চাষযোগ্য জমি অবশিষ্ট থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে খাদ্য নিরাপত্তা হারাবে। পাশাপাশি প্রন্তিক জনগোষ্ঠী আরও ঝুঁকির মুথে পড়বে। মেরুতে বরফ গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রের পানির স্থর ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ জমি সমুদ্রের মধ্যে চলে যাবে। যার ফলে ২০৫০ সালের পরে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষের বাসস্থানের জন্য কোন জমি পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই কারণে দেশের মোট সংখ্যার একটা বড় অংশ ক্লাইমেট রিফিউজিতে পরিণত হবে।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য সমুদ্র থেকে জমি পুনরুদ্ধার করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি সমুদ্র থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বিল্ডিং ব্রেক ওয়াটার, ড্রেজিং ও ফিলিংয়ের মাধ্যমে সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের দেশে জমির অনেক সংকট। তাই জমির সন্ধান খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে ব্লু-ইকোনমি। আমরা ঔপনিবেশিকতার শিকার। তাই সামনে এগিয়ে যেতে আরও নতুন নতুন আবিষ্কার করতে হবে। আর এ জন্য বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের ডেল্টা প্ল্যানের রোড ম্যাপ আছে। সমন্বিত উদ্যোগ ও বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আরও বড় বড় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে। অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবীবুন্নাহার বলেন, প্রতিবন্ধকতাই সম্ভাবনা তৈরি করে। যে দেশে সমুদ্র বা নদী বন্দর নেই তারা বুঝে আমদানি-রপ্তানি কতটা কষ্টের। আমাদের নৌ-পথের ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা জরুরি। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ক্ষেত্রে ভূমির ব্যবহার হয়। আমাদের সবার উচিৎ যার যার অবস্থান থেকে একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, ড. মো. মোস্তফা আলী, ক্যাপ্টেন শামসুর রহমান প্রমুখ।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews