২৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা: জামায়াতে আবারও ব্যর্থ সংস্কার চেষ্টা!’ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এদিন বিকালে দলীয় ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, জামায়াতকে জড়িয়ে অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তার দাবি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যেই এ অসত্য প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে আতাউর রহমান ‘আমীরে জামায়াত ও জামায়াতের কর্মনীতি প্রণয়নের বিষয় সংস্কার প্রস্তাব আনেন’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তার প্রতিটি শব্দ অসত্য ও আগাগোড়া মনগড়া। জামায়াতে সংস্কারপন্থী বলে অতীতে কিছু ছিল না, এখনও নেই। জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকার ও সরকারের মদদপুষ্ট দু-একটি সংবাদপত্র ও মিডিয়া জামায়াতের সুনাম-খ্যাতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা সাংবাদিকতার নামে মনগড়া কল্পকাহিনী প্রকাশ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। জনগণ এ সব কল্পকাহিনী বিশ্বাস করে না। এভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন লিখে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। হামিদুর রহমান আযাদ জামায়াতে ইসলামী ও আতাউর রহমানকে নিয়ে কল্পকাহিনী রচনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এর জবাবে প্রতিবেদক জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা: জামায়াতে আবারও ব্যর্থ সংস্কার চেষ্টা! শীর্ষক প্রতিবেদনে জামায়াতের কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়। দলীয়ভাবে ‘প্রচারবিভাগের বাইরে কারও মুখ খোলার অনুমতি না থাকায়’ তথ্যগুলোর ক্ষেত্রে সূত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি সূত্রই জামায়াতে ক্রিয়াশীল। প্রতিবেদনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল, এ মাসের শুরুর দিকে নায়েবে আমির আতাউর রহমানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া, এর কারণ এবং বিগত দিনে দলটিতে সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়গুলো।
প্রতিবাদলিপিতে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, প্রতিবেদনের প্রতিটি শব্দ অসত্য ও আগাগোড়া মনগড়া। তার এ বক্তব্যকে সামনে রেখে বলা যেতে পারে, আতাউর রহমানকে নায়েবে আমির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কেন এবং কী কারণে, এর কোনও ব্যাখ্যা প্রতিবাদলিপিতে দেওয়া হয়নি। বরং এ বিষয়টির ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেই সংস্কারচেষ্টাগুলো হয়েছে, সেগুলো নিয়েও হামিদুর রহমান আযাদের প্রতিবাদে কোনও বক্তব্য ছিল না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় বিকল্প কোনও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার কথা বলেছিলেন আতাউর রহমান। এ বিষয়টিও বিবৃতিতে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনের মৌলিক একটি বিষয় ছিল, আতাউর রহমানের প্রস্তাবের একটি বড় দিক হচ্ছে, ২৪ ঘণ্টা রাজনীতি করার বিষয়টি। জামায়াতে একেবারে ওয়ার্ড পর্যায় থেকেই ২৪ ঘণ্টার রাজনীতি বিষয়টি স্বীকৃত। নির্ধারিত সংখ্যার নেতাকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার (হোল টাইমার) রাজনীতিক হিসেবে দলে পরিচিতি পান এবং দলীয় বেতন-ভাতায় নিজেদের জীবনভার নির্বাহ করেন। প্রতিবাদে হামিদুর রহমান এ বিষয়টিও এড়িয়ে গেছেন।
এছাড়া বিগত সময়ে একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে আহমদ আবদুল কাদের-ফরীদ আহমদ রেজার প্রশ্ন উত্থাপন, শিশির মুহাম্মদ মনিরসহ ৯ জনের শিবির থেকে পদত্যাগ, নিজের হাতে লেখা কামারুজ্জামানের সংস্কারচিঠি রাজনৈতিক মহলের সর্বত্রই স্বীকৃত।
এ কারণে, সংস্কারচেষ্টা হয়নি বা নেই বলে হামিদুর রহমান আযাদের প্রতিবাদ কেবল বিরোধিতার স্বার্থেই প্রতিবেদনের সত্যতাকে অস্বীকার করেছেন।
/এসটিএস/এআর/



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews