এশিয়া কাপের সুপার ফোরে কাল আবারও বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সাকিব এ ম্যাচে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশকেই

মুখোমুখি পরিসংখ্যানে এখন আর বলার উপায় নেই বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে ঢের এগিয়ে। আফগানদের বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ওয়ানডের দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুই দলের সাক্ষাতের কথা জিজ্ঞেস করতে গেলে আরও বড় বিপদ। গত জুনে দেরাদুনের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ক্ষত না শুকাতেই পরশু মরুর বুকে আরেকটা ধাক্কা দিয়েছে আফগানরা। সেটি সামলে ওঠার আগেই আবুধাবিতে আবারও কাল রশিদ খান-মুজিবদের সামলাতে হবে সাকিবদের। সুপার ফোরের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে কে এগিয়ে থাকবে—বাংলাদেশ না আফগানিস্তান?

আজ দুবাইয়ের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কঠিন প্রশ্নই ছুড়ে দেওয়া হলো সাকিব আল হাসানকে। প্রশ্নটা কীসের কঠিন, অন্য সময়ে অনায়াসে বলা যেত। এখন সেটা বলা যাচ্ছে না। তবুও সাকিব অবলীলায় বলে দিলেন, ‘এখন যদি ছন্দের কথা চিন্তা করেন, অবশ্যই আফগানিস্তান ভালো ক্রিকেট খেলেছে এখনো পর্যন্ত। তবে বিশ্বাস করি আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। কাল আমাদের সেভাবেই খেলা উচিত।’

ভালো দল! গত কিছুদিনে আফগানদের কাছে টানা হারের পরও ভালো দল! কিন্তু কীভাবে? সাকিবের কাছে যুক্তি তৈরিই ছিল, ‘ওদের চেয়ে বড় দলের বিপক্ষে আমরা বেশি ম্যাচ জিতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভালো, র‍্যাঙ্কিংয়েও ওদের চেয়ে এগিয়ে।’ যথার্থই বলেছেন সাকিব। বাংলাদেশ গত ১০ বছর ধরে ওয়ানডেতে কাকে হারায়নি? একবার কেন, কোনো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে একাধিকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। গত তিন বছর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ওয়ানডেতে উঠে এসেছে সাত নম্বর র‍্যাঙ্কিংয়ে। আফগানরা সেখানে দশে।

কিন্তু কাল আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতিতে। ভারতের কাছে হেরে সুপার ফোরটা বাংলাদেশের শুরু হয়েছে বাজেভাবে। কাল আফগানদের বিপক্ষেও একই ছবি দেখা গেলেই সর্বনাশ। সাকিব অবশ্য আশা দিচ্ছেন, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে সমস্যা হবে না, ‘যেহেতু এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি এবং এ পরিস্থিতি উতরে যেতে সক্ষম হয়েছি, আশা করি এবারও আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। স্বাভাবিক যে ক্রিকেটটা খেলে অভ্যস্ত চেষ্টা করব সেটা যেন খেলতে পারি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা অবশ্যই সহজ হবে না। তবে না হওয়ার পরিস্থিতিতে আমরা নেই, সেটা মনে করি না।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্বাভাবিক খেলা খেলতে চাইলেই কী আর রশিদ খান সেটা হতে দেবেন? লেগ স্পিন তো আছেই, সাকিবের মতো ব্যাটসম্যান তাঁর গুগলি পড়তে পারছেন না! টানা দুই ম্যাচের ফাঁকে কতটুকুই-বা সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অল্প সময়ে রশিদকে খেলার কী ছক কষল বাংলাদেশ? সাকিব আজ দুপুরে বললেন, ‘কালকের ম্যাচ নিয়ে টিম মিটিং করিনি এখনো। টিম মিটিংয়ে আশা করি এটা নিয়ে আলোচনা হবে। সব খেলোয়াড়ই আলাদা। আমি যেভাবে তাকে সামলাতে যাব আরেকজন নিশ্চয়ই একইভাবে সামলাবে না। যার যার জায়গা থেকে নিজস্ব উপায়ে তাকে সামলাতে হবে। পেশাদার ক্রিকেটাররা এটাই করে।’

এ বছরের শুরু থেকে সাকিব নামছেন তিন নাম্বার পজিশনে। কিন্তু প্রতি ম্যাচে ওপেনাররা ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে দ্রুত চলে যেতে হচ্ছে উইকেটে। ওপেনারদের ব্যর্থতা তাঁকে বিরক্ত করছে? সাকিব অবশ্য সতীর্থ ওপেনারদের আগলে রাখছেন, ‘বিরক্ত নই (ওপেনারদের ওপর)। তবে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। যে নাম্বার থ্রিতে ব্যাটিং করে তাকে তৈরিই থাকতে হয়। প্রথম বলে উইকেট গেলে তাকে নেমে পড়তে হয়। এটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিলে অবশ্যই কাজটা সহজ হয়। তাই বলে ওপেনাররা ভালো না করতে পারলে পরের ব্যাটসম্যানরা যে ভালো করতে পারবে না এমন কোনো কথা নেই।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews