কানাডার আর্ট কালার ডিজিটাল সিনেমা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ঈশিতা অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য হাসপাতাল করিডর’। সম্প্রতি ‘আমার অভিমান’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এসব নিয়েই কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
শুনলাম, কানাডার একটি উৎসবে আপনার অভিনীত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে?
আমিও শুনেছি। খুবই আনন্দের সংবাদ। ভারতেও একটি উৎসবে ফরহাদ শাহী পরিচালিত দ্য হাসপাতাল করিডর পুরস্কৃত হয়েছে। আমার অভিনয়জীবনের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। খুব সুন্দর একটা কাজ। বিদেশি গল্প অবলম্বনে, দুজন অন্ধ মানুষ নিয়ে। একটি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি, অন্যটিতে মীর রাব্বী। ঘটনাটা একটি হাসপাতালের করিডর নিয়ে।
আপনার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে পরিচালক ও সহশিল্পী দুজনেই তো নতুন?
পরিচালক নতুন হলেও বেশ জানাশোনা। নির্মাণের মধ্যে গভীরতা আছে। প্রতিটি ফ্রেমে পাওয়া যাবে শিল্পের ছোঁয়া। গল্পটা খুব সুন্দর। মীর রাব্বী নতুন হলেও খুবই সিরিয়াস। চিত্রনাট্য পড়া থেকে শুরু করে অভিনয়ের কন্টিনিউটি ঠিক রাখা, চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকা, ঠিক সময়ে শুটিংয়ে আসা—সবকিছু মুগ্ধ করেছে। মাত্র তিন দিন দেখলাম, অভিনেতা হিসেবে অনেক নিবেদিতপ্রাণ মনে হয়েছে।
ঈদের নাটকে অভিনয় করছেন?
এই ঈদে কোনো নাটকে আমি অভিনয় করিনি। তবে ঈদে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে একটি পরিবেশনায় আছি। গান, কথা ও অভিনয় মিলিয়ে সচেতনতামূলক এই পরিবেশনায় আমি ছাড়াও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, চঞ্চল চৌধুরী ও মম।
‘আমার অভিমান’ গানটি সম্পর্কে বলুন।
এই গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন লুৎফর হাসান, সংগীতায়োজন মার্সেল, ভিডিও বানাবেন মন্জু আহমেদ। গানের কথা ও সুর বেশ ভালো লেগেছে।
অভিনয় প্রসঙ্গে কথা বললে আপনি খুব চনমনে, গানে চুপসে যান। কেন?
হাজারের ওপরে নাটকে অভিনয় করেছি। কিন্তু গানে তো আমি পেশাদার না। গানটা আরেকটু বেশি গাইলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। অভিনয়ে আত্মবিশ্বাস যতটা পাই, গানে অতটা নেই।
আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
আমার মনে হয় কিছু গান তো করছি, একটা সময় আত্মবিশ্বাস এমনিতে বেড়ে যাবে।