শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিয়ে খরচ করেন মাত্র ৩ রান। কিন্তু মাঝে এক ওভার আর শেষ ওভারের রান খরচে মিশ্র অভিজ্ঞতায় আজ (সোমবার) বোলিং শেষ করলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। অর্থাৎ জিততে হলে মোস্তাফিজদের রাজস্থান রয়্যালসকে করতে হবে ১৮৯ রান।
প্রথম তিন ওভারে উইকেটের দেখা পায়নি রাজস্থান। এমতাবস্থায় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বল হাতে নিয়েই অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটান কাটার মাস্টার।
ওভারের প্রথম চার বলে দেন তিন রান। পঞ্চম বলেই উইকেট মোস্তাফিজের। বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারি মিডঅনে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন রিতুরাজ গোয়াকঁদ। পরের বলটিও ডট নেন ফিজ।
পাওয়ার প্লে’র পর সপ্তম ওভারে এসে অবশ্য কিছুটা খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ। মঈন আলির এক ছক্কা আর চারে ১৩ রান দেন তিনি। এরপর ১৬তম ওভারে এসে আবারও নিয়ন্ত্রিত বোলিং। এবার তার ওভার থেকে আসে মাত্র ৬ রান। ৩ ওভারে ২২ রানে ফিজের ছিল ১ উইকেট।
দারুণ বোলিং করা টাইগার পেসারকে মজুদ রেখে দেন রাজস্থান দলপতি, শেষ ওভারের জন্য। শেষ ওভারে এসে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ১৫ রান। কিন্তু খুব খারাপ বোলিং কি করেছেন? না। ওই ওভারের প্রথম পাঁচ বলে কোনো বাউন্ডারি হয়নি। বরং দুটি রানআউট হয়েছে।
একদম শেষ বলে ডোয়াইন ব্রাভো ছক্কা না হাঁকালে স্বস্তির হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন মোস্তাফিজ। সেটা না হওয়ায় তার বোলিং ফিগারটি দাঁড়ায় : ৪-০-৩৭-১। এছাড়া চেতন সাকারিয়া ৩টি আর ক্রিস মরিস নিয়েছেন ২টি উইকেট।
চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই চল্লিশও করতে পারেননি। ওপেনিংয়ে নেমে ফ্যাফ ডু প্লেসিস ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে ফেরার পর আম্বাতি রাইডু ১৭ বলে ১৭ করে আউট হলে এক পর্যায়ে ১২৫ রানে ৫ উইকেট ছিল তাদের।
শেষদিকে স্যাম কুরানের ৬ বলে ১৩ আর ডোয়াইন ব্রাভোর ৮ বলে ২০ রানের দুটি ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় চেন্নাই। অধিনায়ক ধোনি আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ১৭ বলে করেন ১৮ রান।
এমএমআর/এমএস