এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে রিপন মারা যান। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান হাফিজা। তাঁর শরীরের ৭৬ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাঁদের মরদেহ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে।
রিপনের মামা ফেরদৌস আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার রিপন রান্নার জন্য বাসায় একটি গ্যাসের সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরদিন শনিবার রাতে কোনোভাবে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন ভোরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে সন্তানসহ এই দম্পতি দগ্ধ হন। তিনজনকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। শিশু রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর রিপন-হাফিজাকে ভর্তি রাখা হয়। তাঁরাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন।