রাতভর উত্তেজনা, কি হয় এ নিয়ে নানান ভাবনা। দিনভর চললো তুমুল নাটকীয়তা। পক্ষে-বিপক্ষে হয়েছে অনেক কথা, সাথে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে হয়নি শেষ রক্ষা, সভাপতির পদ ছাড়তেই হচ্ছে ফারুককে।
ফারুক আহমেদকে বিসিবি থেকে সরাতে শেষ চালটাই চালে ক্রীড়া পরিষদ। ভাবনার বাহিরে থেকে আটকা ফেললো নতুন পরিকল্পনার ফাঁদে। আট পরিচালকের অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিদায় দেয়া হয় তাকে।
তবে এবার নাটকে এসেছে নতুন মোড়। শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না এই ইস্যু। যেসব অভিযোগ এনে তাকে অব্যাহতি দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ, তা মানছেন না ফারুক। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইনি লড়াইয়ে যাবার ঘোষণা তার।
শুধু তাই নয়, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধান গেছেন আইসিসিতেও। শরণাপন্ন হয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি অন্যায়ের শিকার। আমাকে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু আমি আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেব না। ফাইট করে যাব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। আমার সাথে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, আইসিসি সভাপতি জয় শাহকে পুরো ব্যাপারটি জানিয়েছি। এছাড়া আইসিসির অন্তত পাঁচ থেকে সাত জন পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করেছি।
ফারুক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এবং আমি নিশ্চিত যে আইসিসি দ্রুততম সময়ে তাদের অ্যাকশন শুরু করবে। দেখবেন আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই বিসিবিতে আইসিসির চিঠি আসবে।’
এ সময় অ্যাকশন কেমন হতে পারে তারও উদাহরণ সামনে রাখেন ফারুক আহমেদ। বলেন, ‘দু’বছর আগে শ্রীলঙ্কায়ও এমন ঘটনা ঘটেছিল। মন্ত্রীপরিষদ পুরো বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তখন আইসিসি দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নিয়ে পুরো বোর্ড আবার পুনর্বহাল করে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফলে দায়িত্ব নেয়ার নয় মাসের মাঝেই বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছে তার।
এর আগে, বুধবার ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে চিঠি দেন বিসিবির আটজন পরিচালক।
সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন, নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম ও মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তবে আকরাম খান ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।