আওয়ামী লীগের সূত্র জানিয়েছে, সাংগঠনিকভাবে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের প্রভাব ঠেকানো সম্ভব না হওয়ায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে এবং সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতারা নিজেদের মতো করে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
গত রোববার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও সরকারি সুবিধাভোগী ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিদের প্রচারে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশেষ নির্দেশনা জারির অনুরোধ জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের প্রভাব ঠেকাতে না পারলে সংঘাত এড়ানো কঠিন। কারণ, প্রায় সব জায়গায় সংসদ সদস্যদের ঘনিষ্ঠজনদের বাইরে যারা ভোট করছেন, তাদেরও প্রায় সবাই দলের পদধারী নেতা। ফলে ভোটের দিন প্রভাব বিস্তার করতে গেলে কেউ কাউকে ছাড়বে বলে মনে হয় না। এ জন্য সংঘাত এড়িয়ে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই এখন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, যে যা-ই বলুক না কেন, কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। সেভাবেই প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনও কঠোর অবস্থানে।