মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইনভেস্টর ডট কম বলছে, গত বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর হাতে যে সোনা ছিল, তা ছিল সরকারি রিজার্ভের প্রায় ২০ শতাংশ বা প্রায় ৩৬ হাজার ২০০ টন। ২০২৩ সালের শেষে এই হার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। আইএমএফের তথ্যানুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এ বছর অতিরিক্ত ৯০০ টন সোনা কিনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সোনার প্রতি এ ঝোঁকের মূল কারণ হচ্ছে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলার ব্যবহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আস্থা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলোর আর্থিক কর্তৃপক্ষ সম্ভবত ডলারের বিকল্প হিসেবে সোনা কেনা অব্যাহত রাখবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা একদিকে যেমন ডলারের বিকল্প তৈরিতে আগ্রহী, তেমনি তারা সবাই সোনার বড় ক্রেতা। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (পিপলস ব্যাংক অব চায়না) টানা সপ্তম মাসে সোনার মজুত বাড়িয়েছে। মে মাসে তাদের রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩ দশমিক ২৮৫ ট্রিলিয়ন ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি ডলারের সমান।