ফাইল ছবি
নিজ পরিবারের একান্ত আপন সবাই দূরদেশে। নিজেকে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে সামলাতে হয় নানান আনুষ্ঠানিকতা। তার উপর আছে ছোট ছেলেকে হারানোর কষ্টের বোঝা। ঈদের খুশির দিন স্বামীর কবরের পাশাপাশি জিয়ারত করতে হয় সন্তানের কবর। এরমধ্যেই দূরদেশে থাকা তিন নাতনির সঙ্গে টেলিফোনেই ঈদের খুশি ভাগাভাগি করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক দশকের মতো ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে লন্ডন থেকে নাতনীদের ফোন আসে খালেদা জিয়ার কাছে। লন্ডনে তারেক রহমান থাকছেন সপরিবারে। এছাড়াও আছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানরা।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেগম জিয়া ছেলে এবং ছেলেদের স্ত্রীদের সাথে প্রয়োজনের বেশী কিছু আলাপচারিতা করেন না। এমনকি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও দোয়া করা ছাড়া তেমন কিছু না। কিন্তু তিন নাতনী জায়মা রহমান, জাকিয়া রহমান এবং জাহিদা রহমানের সাথে চাঁদ রাত ও ঈদের সকালে দীর্ঘ সময় গল্প, ঠাট্টা আর হাসি খুশিতে টেলিফোনে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন খালেদা জিয়া।
ওই কর্মকর্তা পরিবর্তন ডটকমকে জানান, আপাতদৃষ্টিতে বেগম জিয়াকে খুব গুরুগম্ভীর বলে মনে হলেও নাতনীদের সাথে তিনি আর দশজন সাধারণ দাদীর মতোই।
তিনি আরো জানান, ঈদের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিনকার মতো হালকা ফল আর নাস্তা সেরে নাতনী এবং নিজ স্টাফদের খোঁজখবর নিয়েছেন। দিনের পরবর্তী অংশটি রাখেন দলীয় কাজের জন্য।
এআরপি/এএসটি