১৭ জুলাই পুলিশি অভিযান ও হামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ফাঁকা হয়ে পড়ায় আন্দোলন স্তিমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক প্রতিরোধে বিপরীত চিত্র তৈরি হয়। বিক্ষোভ দমাতে এদিন বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুত ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরাও ছিলেন সশস্ত্র অবস্থানে।
সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কারণে ১৮ জুলাই ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেলও।
ঢাকার উত্তরা, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, ধানমন্ডি, মিরপুর, নীলক্ষেত, তেজগাঁও, শান্তিনগর, মহাখালী, শনির আখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় এদিন ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। রামপুরায় বিটিভি ভবনে হামলা হয়। মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের কার্যালয়সহ কয়েকটি পুলিশ বক্স এবং বনানীর সেতু ভবনের সামনে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে সংঘর্ষে এদিন ২৭ জন (ঢাকায় ১৯, বাইরে ৮) শহীদ হন। আহত হন প্রায় দেড় হাজার। সেদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেয় সরকার। এর আগে ১৭ জুলাই রাতে মুঠোফোন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ১৮ জুলাই দেশ পুরোপুরি ইন্টারনেটবিহীন হয়ে পড়ে।