যশোরের শার্শায় গত তিন দিনে রাজনৈতিক বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে বিএনপির দুই কর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে লিটন হোসেনকে (৩০) কুপিয়ে ও আব্দুল হাইকে (৫৫) বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে শার্শার দুর্গাপুর গ্রামের চেয়ারম্যান মো. লিটন হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লিটন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লিটনের বাবা আজগার আলী বলেন, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে লিটন হুমকির মুখে ছিলেন। ঈদের আগের দিনও হামলাকারীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পরেরদিন বুধবার আজগার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
লিটন হত্যায় গ্রেফতাররা হলেন- আজগর আলী, শমসের আলী, আব্দুল হক মিয়া ও সামছুল হক।
এদিকে গত ৮ জুন বেনাপোলের ডুবপাড়া গ্রামের জামতলা এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে আব্দুল হাইকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো-যশোর কোতোয়ালি থানার ছোট মেঘলা (চাঁচড়া) গ্রামের আহসান কবির ও বেনাপোল পোর্ট থানার ডুবপাড়ার রিপন হোসেন।
ওসি কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।