চোখ ও পায়ের চিকিৎসা শেষে প্রায় তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে বুধবার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিকেল ৫টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে লন্ডনের বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দীন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানে নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’ যাবেন তিনি। খালেদা জিয়াকে সংবর্ধনা জানাতে বিএনপির কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। তবে দুপুর থেকেই বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে বিএনপির কেন্দ্র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার নামে চারটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি দেশে ফিরছেন দেশে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের মতো ভুল সরকার করবে না। ওয়ারেন্ট ইস্যুটা অনেকটা রাজনৈতিক প্রভাবে ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য হয়েছে বলে আমি মনে করি। অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে, তাহলে
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে ফেরার পর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না- এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘পরোয়ানা হাতে আসলে এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গণমাধ্যমে খবর এসেছে পরোয়ানা এখনও পুলিশের হাতে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।
কী হবে এখন? আমি বলব, কিছুই হবে না। উনি (খালেদা) আসবেন এবং আদালতে হাজির হবেন।’
গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া শারীরিক চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে প্রথমে চোখের অপারেশন করান। এরপর লন্ডনে প্রখ্যাত বাতরোগ বিশেষজ্ঞ হ্যাডলি ব্যারির অধীনে হাঁটুর চিকিৎসা গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া।
এমএইচ/এসবি