হাটে গিয়ে গলদঘর্ম হওয়ার চেয়ে ঘরে বসেই পশু কেনা থেকে শুরু করে কসাই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেক ক্রেতাই এখন এসব অনলাইন হাটের দিকে ঝুঁকছেন।

দিন দিন চাহিদা বাড়ায় অনলাইন বাজারগুলোও হরেক জাত ও দামের কোরবানির পশুর সমাহার ঘটাচ্ছে।

সব মিলিয়ে অনলাইন হাট ক্রেতাদের কাছে স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠছে।

ইন্টারনেটে বেশকিছু অনলাইন বাজার ঘেঁটে দেখা গেছে, কোরবানির পশুর ছবি, ভিডিও ক্লিপ, জাতসহ পুরো বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। পশু সরবরাহ থেকে শুরু করে পশু কোরবানির স্থান ও কসাই সুবিধাও দিচ্ছে অনলাইন বাজারগুলো।

অনলাইন বাজার বিক্রয় ডটকমে ২০১২ সাল থেকে কোরবানির পশু বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হলেও পশু বিক্রি মূলত শুরু হয় ২০১৫ সাল থেকে।

প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং ঈশিতা শারমিন জানান, এবার ৬৫ হাজার থেকে শুরু করে ২২ লাখ টাকা দামের গরুর বিজ্ঞাপন রয়েছে বিক্রয় ডটকমে, সাথে রয়েছে ফ্রি ডেলিভারি সুবিধা।

ঈশিতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনলাইনে পশু বিক্রি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, গত বছরের তুলনায় এবার পশু বিক্রি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

“অনেকেই কাজে ব্যস্ত থাকেন, হাটে যেতে পারছেন না, আবার অনেক পরিবারেই কর্মক্ষম ব্যক্তিটি দেশের বাইরে থাকেন। ক্রেতাদের অভিযোগ থাকে দাম বেশি পড়েছে, পশুটিকে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। এসব ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতেই আমাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা।”

দেশের বিভিন্ন এগ্রো ফার্মে ‘সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে’ বেড়ে ওঠা তিন হাজারের বেশি কোরবানির পশুর খোঁজ মিলবে বিক্রয় ডটকমে, জানান ঈশিতা।

প্রক্রিয়াজাত মাংস বিক্রির প্রতিষ্ঠান বেঙ্গলমিট এবার চার শতাধিক গরু বিক্রির ব্যবস্থা রেখেছিল, যার সবগুলোই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং এইচ ইউ এম মেহেদি সাজ্জাদ।

তিনি বলেন, “যোগান ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে হাটে পশুর দামের হেরফের হয়, এতে অনেক সময়ই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লোকসানে পড়ে। ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা পশু কোরবানির যোগ্যও নয়। সেকারণেই ফার্মে পালিত পশুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

এবার ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকায় গরু বিক্রি করেছে বেঙ্গলমিট।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ই-কমার্স উদ্যোগ ‘পল্লী কোরবানি হাট’ নামে অনলাইনে দেশি গরু-ছাগল বিক্রি করছে।

এখানে জাতভেদে ছাগলের দাম ১৩ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকা; গরু মিলছে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে।

ক্লিকবিডি, আমারদেশবিডিসহ অন্যান্য অনলাইন বাজারেও কোরবানির পশু মিলছে ১০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকায়।

হাটের তুলনায় অনলাইনে পশুর দাম বেশি রাখা হয় ক্রেতাদের এমন অভিযোগ করার সুযোগ নেই এমন মন্তব্য করে বিক্রয় ডটকমের হেড অব মার্কেটিং ঈশিতা শারমিন বলেন, “অনলাইনে পশু ক্রয়ে আপনাকে হাসিল দিতে হচ্ছে না, অনেকেই ফ্রি ডেলিভারি পাচ্ছেন। দামটাও আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয় ফলে অতিরিক্ত দাম রাখার কোনো সুযোগ নেই।”

এবারের ঈদে অনলাইনে পশু কেনার কথা ভাবছেন বেসরকারি চাকরিজীবী জাহিদুর রহমান সুজন।

তার ভাষ্য, এবার তিনি ঢাকায় ঈদ করবেন।

“কিন্তু সব আত্মীয় ঢাকার বাইরে থাকে, ফলে হাটে গিয়ে গরু কেনা তার একার পক্ষে সম্ভব না। তাই ভাবছি অনলাইনেই কিনে ফেলব।”



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews