আগেই পেয়েছিলেন হার্ডহিটার তকমা। টি-টোয়েন্টিতে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে চলছিলেন মিচেল ওয়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখালেন রুদ্ররূপ। অভিষেক ম্যাচে দলকে জেতালেন, জিতলেন নিজেও। ম্যাচের সেরা বনে শোনালেন শেষ আট মাসের চেষ্টার কথা।
কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাত বল থাকতেই তিন উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ফিফটিতে ক্যারিবিয়ানরা জমা করেছিল ১৮৯ রান। কুড়ি কুড়ির ম্যাচে সেই লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েন দেখান—নির্দিষ্ট দিনে কিভাবে কি করতে হয়! তার ২৭ বলের ঝড়ো ফিফটিতে চড়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
রান তাড়ায় দল যখন ধুঁকছিল তখন ব্যাট হাতে নামেন ওয়েন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে সেই ছাপই ছিল না। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে দলের চাপ কাটিয়ে দেন, সহজ করে দেন জয়ের পথ। অবশ্য জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি। ২৭ বলে থেমেছেন ৫০ রান করে।
আরও পড়ুন
আরও পড়ুনওয়েনের ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কার মার। ব্যাট চালিয়েছেন ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে। তাতেই কমে আসে ব্যবধান। বাকি সময়ে তাই সমস্যায় পড়তে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। বিগ ব্যাশ ও মেজর লিগ ক্রিকেটে রাজত্ব চালিয়ে আসা ওয়েন এমন জয়ে যারপরনাই খুশি, ‘জিততে পেরে খুবই খুশি। গত ছয় থেকে আট মাস যাবৎ পজেটিভ কিছু করার চেষ্টা করেছি। আজ ভিন্ন কিছু ছিল না। সত্যি বলতে কিছুই পরিবর্তন লাগেনি।’
সাবিনা পার্কে সোমবার আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে দুইশ ছুইছুই রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই টপ অর্ডার সাই হোপ ও রোস্টন চেজের ফিফটির পর ব্যর্থ হয় ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। বিদায়ের দাড়প্রান্তে থাকা আন্দ্রে রাসেলের (৮) ব্যাটও জ্বলে ওঠেনি। ১৯০ রানের লক্ষ্যে নামা অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখান ক্যামেরুন গ্রিন (৫১)। পরে দলকে জয়ের কাছাকাছি এনে দেন অভিষেক হওয়া ওয়েন। ম্যাচের সেরাও হন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের পরের ম্যাচ ২৩ জুলাই, একই মাঠে। পরের তিনটি টি-টোয়েন্টি সেন্ট কিটসে।