করোনাকালীন মহামারিতে বেড়েছে মশার উৎপাত। বলা যায় মশার উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ। কিন্তু বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ থাকলেও সে অনুযায়ী মশকনিধনে দুই সিটি করপোরেশেনের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই মশা নিয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে। এ অবস্থায় মশকনিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নগরবাসীরা বলছেন, অন্য সময়ের চেয়ে মশার উপদ্রব খুব বেড়েছে। দিনেও মশার হাত থেকে রেহাই নেই। অন্যদিকে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দরজা-জানালা সব বন্ধ করে বদ্ধভাবে থাকতে হয়। অথচ মশকনিধনে দুই সিটি করপোরেশেনের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা।

এ ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল বুধবার সিটি করপোরেশনের এক সভায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া যেন গত বছরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে, সেই জন্য আমি আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘কোথাও জমে থাকা পানি বা এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে, সেটি যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানও হয়, সেখানে আইন অনুযায়ী অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ১৬ মে থেকে পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মী দ্বারা ৫টি ওয়ার্ডে ঈদের আগ পর্যন্ত চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। অন্তত আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে বিনামূল্যে ডিএনসিসি এলাকার ৫টি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১১ মে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

মশা শুধু দুর্ভোগই সৃষ্টি করে না। ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাসহ বিভিন্ন মরণঘাতী রোগের জীবাণুও বহন করে। এ জন্য মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে এডিস মশার সংখ্যা যাতে বৃদ্ধি না পায় এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষজনকে সচেতন করে তুলতে হবে।

এ বিষয়ে নাগরিক সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ। বাসাবাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, ছাদের বাগান, ভবনের চৌবাচ্চা, এসি-ফ্রিজ থেকে জমা পানিতে মশার বংশ বিস্তার বেশি ঘটে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নানা সময় মশকনিধনের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ হয় না। মেয়রের প্রতিশ্রুতি যেন কেবলই কথার কথা না হয় সেটিই এখন দেখতে চায় নগরবাসী।

এইচআর/বিএ/জেআইএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews